সৌম্যর সেঞ্চুরি, প্রস্তুতিতেই উড়ে গেলো জিম্বাবুয়ে

ওয়ানডে দলে তার জায়গা হয়নি। এশিয়া কাপে হঠাৎ ডাক পেয়ে কিছু করতে পারেননি বলেই হয়তো জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও তাকে সুযোগ দেননি নির্বাচকরা। কাজটা ঠিক হয়েছে কি না, দারুণ এক সেঞ্চুরি করে এমন প্রশ্ন তুলে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।

শুক্রবার বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিসিবি একাদশ ও জিম্বাবুয়ের একটি ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ। মূল সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ে যাতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারে, এ জন্যই ম্যাচটি আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। তারা বিসিবি একাদশের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে।

ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। তাদের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিলো নাকি ভুল, তা প্রমাণ হয়ে যায় তাদের স্কোরবোর্ডে ৫০ রান উঠার আগেই। এর মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ১২৪ রানের জুটি গড়ে দলকে মোটামুটি একটা পুঁজি পাইয়ে দেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও এল্টন চিগুম্বুরা।

মাসাকাদজা থামেন সেঞ্চুরি করে। আর চিগুম্বুরা বিদায় নেন ৪৭ রান করে। বিসিবি একাদশের হয়ে আগুনঝড়া বোলিং করেন এবাদত হোসেন। সর্বশেষ পেসার হান্টের আবিষ্কার এবাদত নয় ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সাইফুদ্দিন। সাত ওভার দুই বলে এই তরুণ অলরাউন্ডার ৩২ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট।

কোচের বিশেষ সুনজরে থাকা সাইফুদ্দিন কেমন খেলেন, তা দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। গুরুকে হতাশ করেননি সাইফুদ্দিন। তার ব্যাটিংও দেখার ইচ্ছে ছিলো কোচের। কিন্তু সাইফুদ্দিনের ব্যাটিংয়ের প্রয়োজনই পড়েনি।

জিম্বাবুয়ের ১৭৮ রানের জবাব দিতে নেমে দুই উইকেট হারিয়েই লক্ষ্য পূরণ করে ফেলে বিসিবি একাদশ। ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। ৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য ১০৯ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৩ট চার ও একটি ছয় মেরেছেন তিনি। এ দিন পাঁচ ওভারে মাত্র নয় রান দিয়ে বোলিংয়েও আলো ছড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের সিরিজটি শুরু হবে ২১ অক্টোবর। এ দিন প্রথম ওয়ানডেতে দুই দল মিরপুরে মুখোমুখি হবে। এরপর ২৪ ও ২৬ তারিখে সিরিজের অন্য দুটি ওয়ানডে হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।