পূরণ হচ্ছে আরিফুল-নাজমুলের টেস্ট স্বপ্ন?

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অঙ্গনে নাম উঠতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এবং একই সাথে পূরণ হতে পারে আরিফুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপুর টেস্ট খেলার স্বপ্নও।

আঙুলের ইনজুরির কারণে চলতি সিরিজে খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। তার না থাকার কারণে একজন স্পিনার ও একজন ব্যাটসম্যানের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ করতেই মূলত নাজমুল ও আরিফুলের খেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আরিফুলের জায়গায় মোহাম্মদ মিঠুনকেও বিবেচনা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।

এই তিনজনের মধ্যে মিঠুন ও নাজমুল এরই মধ্যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন। তাদের মতো সুযোগ না পেলেও আরিফুলও মোটামুটি প্রমাণ করেছেন যে সীমিত ওভারে তিনিও কার্যকর অলরাউন্ডার হয়ে উঠতে পারেন।

এবার তিনজনের সামনেই টেস্ট খেলার হাতছানি। সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এদেরকে। বিশেষ করে নাজমুল ও মিঠুনের বিষয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয় ওরা যেভাবে পারফরম্যান্স করছে, টেস্ট স্কোয়াডে তাদের একটা সুযোগ প্রাপ্য। অপু (নাজমুল)-মিঠুন দুজনই সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ফর্মে আছে। ওই আত্মবিশ্বাসটা যদি টেস্ট ক্রিকেটে নিয়ে আসতে পারে, তাহলে তারা ভালো পারফর্ম করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

চলতি জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করেন আরিফুল। ডানহাতি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত মোট ৭৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৩.৭১ গড়ে ৩৪০৫ রান করেছেন। সঙ্গে আছে আটটি সেঞ্চুরি এবং ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি। ৭৬ ম্যাচে ১০০টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে আটবার ইনিংসে চারটি এবং একবার পাঁচটি উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে।

বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে প্রায় নিশ্চিত জায়গা করে নেয়া মোহাম্মদ মিঠুন প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৮৮টি। এতে তার মোট সংগ্রহ ৩৫.৫৯ গড়ে ৪৭৭০ রান। সঙ্গে আছে ১২টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি।

নাজমুল ইসলাম অপু, বাঁহাতি স্পিনার, খেলেছেন ৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এবং এতে শিকার করেছেন ১৪৪টি উইকেট। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন সাত এবং পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনবার। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ওভার প্রতি তিন রানেরও কম খরচ করেছেন তিনি।