সখ করে বাড়িতে পাখি, কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, গিরগিটি, বানর, কচ্ছপ, মাছ, ইঁদুর, ঘোড়া থেকে শুরু করে সাপের মতো সরীসৃপও পালন করেন অনেকেই। প্রাণী লালন-পালনে যত্নও নেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে সচেতনভাবে। কারণ সামান্য অসচেনতায় ক্ষতি হতে পারে প্রিয় পোষ্যটির।

pets care during winter

প্রাণী পোষার বিষয়টি নির্ভর করে বাড়ির পরিবেশের ওপর। তাই পরিবেশ ভেদে এর যত্নটাও হয় ভিন্ন। তবে পোষা প্রাণীর খাবারের মান ও পর্যাপ্ত পরিমাণের দিকে যেমন লক্ষ রাখতে হবে তেমনি খেয়াল রাখতে হবে খাবার যেনো বাসি বা পচা না হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও পোষা প্রাণীর জন্য জরুরি। যেমন খাবারের পাত্র, থাকার জায়গা ও পটি/পি এর জায়গা সবসময় রাখতে হবে পরিচ্ছন্ন।

কুকুর-বিড়াল নিজেদের নিজেরাই পরিচ্ছন্ন রাখে এরপরও পরিচ্ছন্নতায় গোসল জরুরি। তবে শীতের সময়টায় বিড়ালকে গোসল না করানোই ভালো। তবে শরীরের দুর্গন্ধ কাটাতে সপ্তাহে একদিন অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানিতে সূতি কাপড় ভিজিয়ে কুকুর বিড়ালের শরীর এবং পাখি হলে পা পরিষ্কার করে দিতে হবে। কুকুরকে চাইলে শীতকালে গরম পানিতে গোসল করানো যাবে, তবে খুব দ্রুত গা মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। চিরুনি দিয়ে নিয়মিত কুকুর বিড়ালের গা আঁচড়ে দিতে হবে। শীতকালে কুকুর বিড়ালের গায়ে রুক্ষতা দেখা দেয়। এজন্য নারিকেল তেল বা মাছের তেল থাবায়, কানে, লেজে লাগাতে হবে।

শীতকালে পোষা প্রাণীটিকে নিয়মিত রোদে নিয়ে যেতে হবে। খাবারের ক্ষেত্রে ভ্যাটের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার দিতে হবে। যেমন পোষা পাখির খাবারে তেল জাতীয় বীজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। কুকুর বিড়াল পর্যাপ্ত পানি পান করছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। শীতকালে পানির পাত্রে কুসুম গরম পানি দিতে হবে।

অনেকেই পোষা পাখির খাঁচা বারান্দায় রাখেন কিন্তু শীতকালে রাতের বেলায় খাঁচা রুমের ভেতর নিয়ে আসতে হবে যেখানে দরজা জানালা বন্ধ ও সরাসরি ঠান্ডা বাতাস খাঁচায় না লাগতে পারে। কুকুর, বিড়াল, খরগোশের ক্ষেত্রে আরামদায়ক বিছানার পাশাপাশি গরম জামার ব্যবস্থা করতে হবে। খালি মেঝেতে যেনো ওরা দৌড়াদৌড়ি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে মেঝেতে কার্পেট বিছানো যায় শীতের সময়টায়।

শীতকালে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকায় পোষা প্রাণীর পর্যাপ্ত বয়স হলে ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি যেমন কুকুর, বিড়ালের। যাতে তার আঁচড়ে কোনো রোগ সংক্রমণ না হয় পাশাপাশি কুকুর, বিড়াল যেনো রোগমুক্ত থাকে। পোষা পাখিকে তিন মাস পরপর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে আর ছয় মাস পরপর প্রতিষেধক দিতে হবে।

শীতকালে রোগবালাই যেহেতু বেশি হয় তাই বেশি সচেতনতা জরুরি। যেমন কুকুর, বিড়ালের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকবে ৯৯-১০২.৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট। আর নাড়িস্পন্দন থাকবে কুকুরের মিনিটে ৬০-১৫০, বিড়ালের ১৪০-২২০। কুকুর বিড়ালের শ্বাসপ্রশ্বাসের হাড় প্রতি মিনিটে ৮-৪০। এই স্বাভাবিক নিয়মে পরিবর্তন দেখা দিলে রেজিঃ ভেটেনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাখির ক্ষেত্রে চুপচাপ ঝিম ধরে বসে থাকলে ভ্যাটের পরামর্শ নিতে হবে।

যদিও শীতকালে সব প্রাণীর মধ্যেই একটু অলসতা দেখা দেয়। যেমন বিড়াল শীতকালে তুলনামুলকভাবে বেশি ঘুমায়। কুকুরের মাঝেও তেমন অলসতা দেখা যায় তাই শীতের সময়টায় ইচ্ছে করে পোষা বিড়াল বা কুকুরে সাথে প্রতিদিন খেলাধুলা করতে হবে, পাখির সাথে কথা বলতে হবে। শীতকালে কুকুর বিড়ালকে
খেলতে নরম খেলনা দিতে হবে। এ সময় যেহেতু কুকুর বিড়াল উষ্ণতা খুঁজে তাই বাড়তি সচেতনতা জরুরি। যেমন গরম গাড়ির ইঞ্জিন, হিটার বা আগুন ঘেঁষে যেনো বিড়াল কুকুর না বসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.