ব্রঙ্কাইটিস নিয়ে কিছু কথা -২

ব্রঙ্কাইটিস ঠেকাতে গেলে শুধু ওষুধের উপর ভরসা না করে একটি হেলদি লাইফস্টাইলও মেনে চলার চেষ্টা করুন। ধুমপান করলে সেটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিন। অ্যাজমা থাকলে ইনহেলার থেরাপিতে উপকার পাবেন। নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রবণতা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ আছে যেগুলো ব্রঙ্কাইটিস ঠেকাতে খুবই উপকারী। ধুলোবালির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। ডায়েটে অবশ্যই রাখুন মৌসুমি ফল, প্রচুর সবজি আর পানি।

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রঙ্কাইটিসের কিছু চিকিৎসা:

• পালংশাক ব্রঙ্কাইটিসের জন্য কার্যকর প্রতিকার। এক গ্লাস পানিতে খুব অল্প পরিমাণ তাজা পালংশাক ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
• তেজপাতা ব্রঙ্কাইটিসের সহজতর ভেষজ প্রতিকার। এটা চা হিসাবে পান করা যেতে পারে। চা প্রস্তুত করতে, এক কাপ গরম পানিতে একটি তেজপাতা দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন।
• শ্লেষ্মা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং ফুসফুস ভাল রাখতে থাইম একটি অসাধারণ ভেষজ ঔষধ। কারণ এর রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এটিকেও চা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এক কাপ ফুটন্ত পানিতে অর্ধেক চা চামচ থাইম দিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। চা প্রস্তুত। চাইলে কিছু মধুও যোগ করতে পারেন। 
• থাইম অয়েলও খুবই কার্যকরী হতে পারে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সাথে ১ টেবিল চামচ থাইম অয়েল মিশিয়ে বুকে ম্যাসাজ করুন।
• ফুসফুসের সংক্রমণে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
• ব্রঙ্কাইটিস কাশির উপশমে একটি বাটিতে একটি পেঁয়াজ মধুতে চুবিয়ে রাখুন সারারাত। এরপর পেঁয়াজ সরিয়ে ১ চা চামচ করে এই মধু দিনে চার বার করে খান। এছাড়াও পেঁয়াজ কাঁচা, স্যুপ, বেকড অথবা স্টু বানিয়ে খেতে পারেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন

ব্রঙ্কাইটিস নিয়ে কিছু কথা

খালি পেটে অন্তত এক গ্লাস পানি খান

প্যারাসিটামল খাবেন, নাকি খাবেন না