তালেবান হামলায় ১২ আফগান সেনা নিহত

আফগানিস্তানে তালেবানদের চালানো গাড়ি বোমা হামলায় দেশটির অন্তত ১২ সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। আফগান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।

ছবি: টোলো নিউজ

তবে প্রদেশের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আফগান গণমাধ্যম টোলো নিউজ বলেছে, হামলায় ২৪ জন নিহত বা আহত হয়েছে। আর প্রদেশের এক কাউন্সিল সদস্য বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে ওয়ারদাক প্রদেশের মাইদান শাহর সামরিক ঘাঁটি ও একটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ওই হামলা চালানো হয়।

আঞ্চলিক সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সালেম আগারখলিল বলেছেন, আহত কিছু লোককে প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। আর যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের রাজধানী কাবুলে পাঠানো হয়েছে।

প্রদেশের উপ-স্বরাষ্টমন্ত্রী নাসরাত রহিমি জানান, সকাল ৭টার দিকে ওই সমন্বিত হামলা চালানো হয়। ওই সময় মাইদান শাহর সামরিক ঘাঁটির গেটে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলেও জানান তিনি।

খবরে বলা হয়েছে, সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা হামলা চালিয়েই ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে, যে কৌশল তারা অনেক হামলার ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করে।

রাজধানী কাবুল থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ওই ঘাঁটিতে এমন সময় হামলা চালানো হলো যখন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববারও পার্শ্ববর্তী রাজ্য লোগারে হামলা চালায় তালেবানরা। ওই হামলায় আট পুলিশ সদস্য নিহত হয়।

আলজাজিরা বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তালেবানরা হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যত শান্তি আলোচনায় অধিক প্রভাব রাখতে এবং সম্ভবত আরো রাজনৈতিক সবিধা নিতেই তারা এই কৌশল অবলম্বন করছে।

আফগানিস্তান পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষ মার্কিন মহাপরিদর্শকের তথ্য অনুযায়ী তালেবানরা দেশটির অর্ধেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনে পতন ঘটে তৎকালীন তালেবান সরকারের। দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ শেষেও তালেবানদের দমাতে না পেরে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন।

গত বছরের জুলাইয়ে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু করে মার্কিন সরকার। এ লক্ষ্যে তারা কয়েকটি দেশে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। কিন্তু তালেবানরা আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সরাসরি বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

কারণ তালেবানদের মতে, বর্তমান আফগান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ‘পুতুল’।

সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুতে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধির আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলোচ্য সূচিতে একমত হতে না পারায় বৈঠক প্রত্যাখ্যান করে তালেবান।