সরকারের কাছে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলের ছোট্ট আরজি

কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্য সরকারের কাছে ছোট্ট একটি আরজি জানিয়েছেন তার একমাত্র ছেলে সামির আহমেদ। তা হলো পিতাকে দাফনের জন্য ‘মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে এক টুকরো চিরস্থায়ী জায়গা’। আজ মঙ্গলবার সকালে সামির সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আজীবন তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। তিনি সারা জীবন দেশের গান করে মানুষকে দেশপ্রেমের উৎসাহিত করেছেন।'

সামির আহমেদ আরো বলেন, ‘বাবা স্বাধীনতা বিরোধীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার থাকায় অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। এখন স্বাধীনতার চেতনার সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। বাবাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে সমাহিত করতে চাই। এ জন্য এই সরকারের কাছে সেখানে এক টুকরো চিরস্থায়ী জায়গা চাই। বাবার কবরটি যেনে শুধুমাত্র তার জন্যই বরাদ্দ করা হয়। যাতে সবাই খুব সহজেই বাবার কবরটি শনাক্ত করতে পারেন।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের একমাত্র ছেলে সামির আহমেদ

তিনি বলেন, ‘এই দেশ বাবাকে অনেক কিছু দিয়েছে, তিনি অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন। দেশের মানুষ তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছে। কারো কাছে তার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। তার ছেলে হিসেবে আমি দেশ ও সরকারের কাছে বাবার জন্য স্থায়ী একটি কবর চাই।’

সামির বলেন, বাবা দেশ ও মানুষের জন্য গান করেছেন। তিনি চাইলেই অনেক বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে পারবেন, আরাম-আয়েশে জীবন কাটাতে পারতেন। আমাকেও তিনি অন্য দশটা সাধারণ ছেলের মতোই মানুষ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে খ্যাতিমান গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি অনেকদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।

তার মৃত্যুতে ঢাকার আফতাব নগরে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বাসভবনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সংবাদ পেয়েই দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বন্ধু কুমরা বিশ্বজিৎ ও এন্ড্রু কিশোরসহ অনেক শিল্পী ছুঁটে গেছেন সেখানে।।