কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ফের সংঘর্ষ, মেজরসহ ৬ সেনা নিহত

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতি হামলার চার দিনের মাথায় বড় ধরনের গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ছয় সেনা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার রাতে পুলওয়ামার জেলার পিঙ্গলান এলাকায় স্বাধীনতাকামীদের অবস্থান লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গোপন সূত্রে সেনাবাহিনী জানতে পারে, পিঙ্গলানের একটি বাড়িতে বেশ কয়েকজন ‘জঙ্গী’ লুকিয়ে রয়েছে। এর ভিত্তিতে স্থানীয় সময় রোববার গভীর রাতে বাড়িটি ঘিরে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। উভয় পক্ষের মধ্যে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গোলাগুলি চলে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ চার সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গোলাগুলির মাঝে পড়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের জম্মু-কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে স্বাধীনতাকামীদের হতাহতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবারের আত্মঘাতী বোমা হামলায় পুলওয়ামার যে স্থানে ৪২ জওয়ান নিহত হয়, সেখান থেকে মাত্র ৬-৮ কিলোমিটার দূরে পিঙ্গলানের সংঘর্ষে আরও ৪ সেনা নিহত হন। দুটি ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র চার দিন। এ সময়ের মধ্যে কাশ্মিরের অন্য স্থানে পুতে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মেজর র‌্যাংকের এক কর্মকর্তা প্রাণ হারান।

এর আগে বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় ভারতীয় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) বহরে আত্মঘাতি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একটি বাসে থাকা আধা-সামরিক এ বাহিনীর ৪২ জওয়ান নিহত হয়। ৭৮টি বাসে আড়াই হাজারের সিআরপিএফের জওয়ানের বহরটি রাজধানী শ্রীনগরের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে হামলার শিকার হয়।

পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মুহাম্মাদ ওই হামলার দায় স্বীকার করে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে। এনডিটিভি জানায়, আদিল আহমাদ দার ওরফে ‘ওয়াক্কাস কমান্ডো’ এই হামলা চালিয়েছে। গত বছর জইশ-ই-মুহাম্মাদে যোগ দেওয়া আদিল কাকাপোড়া এলাকার বাসিন্দা।