এরদোয়ানের উদ্যোগে ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ

ছবি দেখেই অনুমান করা যায় কতো সুদৃশ্য মসজিদ তাশামালিজা। যার সুউচ্চ মিনারা যেন আকাশকেই ছুঁইতে চাচ্ছে। মিনারায় দাঁড়িয়ে চাইলেই যেন ছুঁয়ে দেয়া যাবে ইস্তাম্বুলের মেঘমালা। বারান্দা ও জানালা দিয়ে উপভোগ করা যাবে প্রাচীন এই নগরীর পুরোটাই। ছয় মিনারার সাদা রঙের এই মসজিদটি নজর কাড়বে পর্যটকদেরও।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নির্মিত এই মসজিদটি ইউরোপের সবচেয়ে বড়। তুর্কি প্রেস মসজিদটি উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ বলছে ৭ মার্চ। ছয় বছর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

বলা হচ্ছে, সুবিশাল এই মসজিদটিতে এক সঙ্গে ৬৩ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। পাশাপাশি মসজিদ কমপ্লেক্সেটিতে নয়নাভিরাম জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, লাইব্রেরি, কনফারেন্স হল, বিস্তৃত পার্কিংসহ রয়েছে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। আয়তনগত দিক থেকে এটি এশীয়া ও ইউরোপ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ মসজিদ।

এদিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার পর এটিই তুরস্কের নিজস্ব নির্মিত সর্ববৃহৎ মসজিদ। যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেই। তবে এটি নিয়ে বেশ বিতর্কও রয়েছে। বিরোধীরা সমালোচনা করছে, রাষ্ট্রীয় টাকায় এত বড় মসজিদ নির্মাণ ঠিক হয়নি।

শামালিজা নামক নয়নাভিরাম সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হওয়ায় মসজিদটির নাম পাহাড়ে নামের সঙ্গে মিল রেখে দেয়া হয়েছে। তাশামালিজা মসজিদে সর্বমোট ছয়টি মিনারা রয়েছে। বড় মিনারা দুটির উচ্চতা ১০৭.১ মিটার যা মসজিদে নববীর মিনারা হতেও লম্বা। এই সংখ্যার মাধ্যমে ১৭০১ সালের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তৎকালীন সেলজুকী সুলতান আলাব আরসালান মালাযিকারদের যুদ্ধে বাইজান্টাইনকে পরাজিত করেছিলেন।