বিশ্বকাপকেও আইপিএলের মতো করে চায় ভারত!

২০১৪ সাল থেকে হিসেব কষলে ক্রিকেটের বড় টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের সাফল্য শূন্যের ঘরে। দাপুটে খেললেও বারবার নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে প্রশাসনিক ক্ষমার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দলটি। এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর আগের ক্ষতগুলোও যেন জেগে উঠেছে! ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এবারের বিশ্বকাপ। তীরে এসে তরী ডুবিয়ে শিরোপার দেখা পায়নি দলটি। 

ক্রিকেটীয় শক্তির পাশাপাশি মাঠের বাইরেও বেশ শক্তিশালী ভারত। আইসিসিতে বরাবরই হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে। ভারতের প্রতি আইসিসির যে বাড়তি সুদৃষ্টি থাকে সেটাও অনেকটা ওপেন সিক্রেট। তারপরও বার বার এভাবে ছিটকে পড়াকে যেন হজমই করতে পারছেন না ভারতীয়রা।

বিশেষ করে এবার নিউজিল্যান্ডের মতো পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে হেরে যাওয়াটা মানতেই পারছে না ভারত। হতাশ ভারতীয়রা এবার বিশ্বকাপের ফরম্যাট পরিবর্তনের কথা বলছেন।

চিরাচরিত ফরম্যাটে অমূল পরিবর্তন এনে এবার মাত্র দশটি দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছে। আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করে আনা এই পরিবর্তনে বড় ক্ষতি হয়েছে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো ছোট দলগুলোর। নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা দলগুলো এবার বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ভারতের চাওয়া পূরণ করতেই বিশ্বকাপের ফরম্যাটে এমন পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। কিন্তু তারপরও বিশ্বকাপ জিততে পারল না ভারতীয়রা।

ফলে এই ফরম্যাটেও এখন পরিবর্তন আনার কথা বলা হচ্ছে, আইপিএলের ফরম্যাটে বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি তোলা হচ্ছে।

আইপিএলের ফরম্যাটে গ্রুপ পর্বের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে যাওয়া জন্য দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। বিশ্বকাপেও সেই নিয়ম করার দাবি তোলা হচ্ছে। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল ভারত। তারপর নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতেই বিদায় নিশ্চিত হলো বলেই হয়তো আইপিএলের নিয়মের কথা তুলছেন ভারতীয়রা!

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হারার পর পর সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথমে আইপিএলের নিয়মে বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি তুলেছিলেন। ভারতের প্রথান কোচ রবি শাস্ত্রীও সেই একই কথা বললেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেন, ‘আইসিসির অবশ্যই এই দিকটা চিন্তা করা উচিত। হাতের সামনে আইপিএলের উদাহরণ রয়েছে। আইপিএলের ফরম্যাট ভালো। শীর্ষে থাকা দুটি দল ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি করে সুযোগ পায়। এই দিকটা অবশ্যই ভাবা উচিত।’

ভারতীয় কোচ বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা দল (ভারত) বাদ পড়ল। ফাইনালে উঠে গেছে ইংল্যান্ড। তার মানে ব্যাপারটা এই দাঁড়াচ্ছে যে, যে টিম চ্যাম্পিয়ন হবে তারা আমাদের চেয়ে কম ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে।’ ভারতকে সন্তুষ্ট রাখতে আইসিসি হয়তো এই পরিবর্তনও করে ফেলবে!