টানা দুই ম্যাচ হেরে বিপদে বাংলাদেশ

ইমরুল কায়েসকে বাদ দিয়ে অধিনায়ক করা হয়েছিল মোহাম্মদ মিঠুনকে। তবে তাতে প্রত্যাশা পুরণ হলো কই। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের আছে ফের হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিরিজটা ‘এ’ দলের হলেও বাংলাদেশ খেলাচ্ছে আসলে ‘পৌনে জাতীয়’ দলকে!

আজ যে এগারোজন মাঠে নেমেছিলেন তাদের দশজনই কখনো না কখনো জাতীয় দলে খেলেছেন। কদিন পর শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সফরের দলে সুযোগ পাওয়া তিনজন খেলছেন 'এ' দলের হয়ে। কিন্তু আফগানদের সাথে যেন পেরে ওঠাই যাচ্ছে না! দুটি চারদিনের ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে হারার পর পাঁচটি একদিনের ম্যাচের প্রথমটিতে ১০ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।

আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চার উইকেটে হারল স্বাগতিকরা। পরপর দুই হারে সিরিজে এখন ২-০ তে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাকি তিন ম্যাচের একটিতে হারলেই সিরিজ হারতে হবে স্বাগতিকদের।

টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মিঠুন করেছেন ৮৫ রান। ৫ চার ৪ ছক্কায় এই রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটে নজরকাড়া মোহাম্মদ নাঈম করেছেন ৪৯। নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।

পরে চার উইকেট আর পাঁচ বল হাতে রেখে টার্গেটটা পেরিয়ে যায় সফরকারী আফগানিস্তান। বাকিদের ঠিকভাবে সুবিধা করতে না দিলেও আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশি বোলাররা। ৭টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ১২৭ রান করেছেন ১৭ বছর বয়সী আফগানি। ৩৬ রান করা শারাফুদ্দিন আশরাফ আফগানিস্তানের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম।