একই সঙ্গে কোরআনের হাফেজ ফিলিস্তিনের ৪ যমজ বোন

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে অব্যাহত জীবন যুদ্ধকে জয় করে ১২ বছর বয়সী যময ৪ বোন একই সঙ্গে পবিত্র আল কুরআনের হাফেজ হয়েছেন। অসাধারণ এই কৃতিত্ব অর্জনকারী সৌভাগ্যবান চার বোনের নাম দীনা, দীমা, সুজান ও রাজান শানিতী।

ফিলিস্তিনি ৪ যমজ বোন

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি শহর জেরুজালেমের উম্মে তুবা গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া যমজ চার বোন বিরল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। একই শ্রেণিতে পড়াশুনা করা এই চার বোন মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায়ও সমান স্কোর করেছেন।

সংবাদমাধ্যম ওয়াফা নিউজ জানায়, প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষায় মনযোগী ছিলেন দিমা-দিনার মা-বাবা। এ জন্য তারা স্কুলের পাশাপাশি হেফজখানায়ও ভর্তি করে দেন মানিকজোড় সন্তানদের। এই চার বোনের ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে, ‘তারা এমন এক উজ্জ্বল হার, যার পুঁতি ও পাথরগুলো পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ এবং সমান। তবে তারা পৃথক হলে স্বতন্ত্র চারটি হার হয়ে উঠবে।’

ফিলিস্তিনি ৪ যমজ বোনের হাতে সনদ

রাজান-সুজানদের মা নাজাহ আশ শানিতি জানান, মেয়েরা জেরুজালেমের আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ছে এবং সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে সবার গড় নম্বর নব্বইয়ের ঘরে। ছোটবেলায় কোরআন মুখস্থ করতে গ্রামের মসজিদে তাদের পাঠিয়ে দিতাম। আলহামদুলিল্লাহ, তারা এখন ৩০ পারা কুরআনের হাফেজ। তাদের এ কৃতিত্বে আমরা খুবই আনন্দিত, গর্বিত।

যমজ চার সন্তানের মধ্যে ‘খুব সামান্য পার্থক্য’ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় ওদের পার্থক্য করতে আমিই হিমশিম খেতাম। তাই সহজে চিনতে চারজনের জামায় চার রঙের সুতা দিয়ে নকশা করে রাখতাম। তবে এখন কণ্ঠস্বর শুনেই আমি তাদের আলাদা করতে পারি।’

সন্তানদের বরাত দিয়ে তাদের বাবা মুরয়ি আশ শানিতি জানান, ফিলিস্তিনি প্রসিদ্ধ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করাবো, যাতে তারা স্বপ্ন পূরণ করে মানুষের খেদমত করতে পারে। এ জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য এবং সবার দোয়া চেয়েছেন তিনি।