বিসিবি বস নিশ্চয়তা দিলেও প্রধান নির্বাহী বললেন ‘আশা করছি’

আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বিশ্বকাপ, তার পরপরই তিন ওয়ানডে খেলতে শ্রীলঙ্কা উড়াল দিতে হয়েছিল। তবে টানা ক্রিকেটের মধ্যে থাকা বাংলাদেশ দল এই মুহূর্তে বিশ্রামে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেট নেই, আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও নেই। বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ মাসখানেক পরে। এদিকে, ওই সিরিজকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা।

এফটিপি অনুযায়ী সেপ্টম্বরে বাংলাদেশে এসে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু পরে এই সিরিজে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ করে জিম্বাবুয়ে। আফ্রিকান দেশটির অনুরোধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের অন্তর্ভূক্তির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিম্বাবুয়ের উপস্থিতির কারণে দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি (টি-টোয়েন্টি) হয়ে পড়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ। তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

গত ১৯ জুলাই জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করে আইসিসি। যাতে তাদের বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসার বিষয়টি বড় রকমের অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জিম্বাবুয়ে কী বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে আসছে ভিন্ন ভিন্ন কথা।

গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে বিসিবি সভাপতি নামজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ না আসার শঙ্কা পুরোপুরি কেটে গেছে। জিম্বাবুয়ানরা অবশ্যই সিরিজ খেলতে আসছেন। কিন্তু বিসিবি প্রধানের এমন নিশ্চয়তার পরেও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বললেন ভিন্ন কথা।

বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কথায়, জিম্বাবুয়ের আসাটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তারা আশাবাদী। দু-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচি অনুযায়ী আফগানিস্তানের যে সফরটি ছিল একটি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের, জিম্বাবুয়ের অনুরোধে সেটিকে আমরা একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ করার সিদ্ধান্ত নেই গত আইসিসি মিটিংয়ে। এখন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের কিছু নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছু সংশয় তৈরি হয়েছিল। তাদের ক্রিকেট বোর্ড আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল যে বিষয়টি তারা মানিয়ে নিতে পারবে বা সিরিজে অংশ নিবে। আমরা আশা করছি দ্রুত তাদের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা আমরা পাব।’

তিনি বলেন, ‘ম্যাচের স্ট্যাটাস নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। যেটা হয়েছে, তারা আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না। জিম্বাবুয়ের বোর্ড তাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলছে, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিরিজটি (বাংলাদেশ সফর) ‘অন’ রাখার। আমাদের সাথে সর্বশেষ যে কথা হয়েছে, তারা বলেছে যে সিরিজটি ‘অন’ আছে। আশা করছি, ২-১দিনের মধ্যে ওদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারব।’

শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে এলে ত্রিদেশীয় সিরিজের পর একটি ওয়ানডে সিরিজেরও আয়োজন হতে পারে। মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায়ী আয়োজন হতে পারে যেটা। তবে আফ্রিকার দলটি নিষেধাজ্ঞার মারপ্যাচে না আসতে পারলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।