কাশ্মিরে কিছু হলে ২৭ ফেব্রুয়ারির মতো হবে: ভারতকে পাকিস্তান

ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কাশ্মিরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে তার ভয়াবহ জবাব দেওয়া হবে। শুক্রবার দেশটির আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক জেনারেল আসিফ গফুর এ সতর্কবার্তা দেন।

তিনি বলেন, কাশ্মিরে যদি কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাহলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তার যথাপোযুক্ত জবাব দেবে। যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারির চেয়েও কড়া হবে। ওইদিন যেমন পাকিস্তানী বিমানবাহিনী সীমান্ত রেখা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে গোলাবর্ষণ করেছিল, তার থেকেও কঠিনভাবে জবাব দেওয়া হবে।

এছাড়া গুলি করে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা ও একজন ভারতীয় পাইলটকে আটকের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভারতকে নতুন করে হুমকি দেন আসিফ গফুর।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে সিআরপিএফের অন্তত ৪০ জন জওয়ান মারা যান। এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিরবৈরী দুই প্রতিবেশি দেশের (ভারত ও পাকিস্তান) বিমানবাহিনী তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে একে অন্যের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এ সময় ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান মিগ-২১ ভূপাতিত ও ভারতের এক পাইলটকে আটক করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক টুইট বার্তায় আসিফ গফুর বলেন, ভারত কয়েক দশক ধরে তাদের হাজার হাজার সেনা দিয়ে কাশ্মিরিদের এই সাহসী লড়াই দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটি বিশেষ সুবিধা ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে দমন নিপিড়নের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেটিও সফল হবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনরের কমান্ডার জেনারেল কানওয়াল জিৎ সিং ঢিলন বলেন, তারা অধিকৃত কাশ্মির উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নকারীদের ওপর নজর রাখছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও নাগরিকরা সব সময় ওই উপত্যকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা করে।

তবে তার এই অভিযোগকে চিরাচরিত মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করে গফুর বলেন, ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের অনিশ্চিত পরিস্থিতি ও সেখানে তাদের নৃশংসতা থেকে বিশ্বের নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিতেই সবসময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। ওই উপত্যকাটিতে গণমাধ্যমের কর্মীরা ঢুকতে পারছে না। কিন্তু আজাদ জম্মু-কাশ্মির বিদেশি সংবাদকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত। আজাদ কাশ্মিরের যে কোন জায়গায় পাকিস্তান ও ভারতে নিয়োজিত জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপ যেতে পারে।