২০২৩ বিশ্বকাপ: কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশ

গত মাসে শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু পরবর্তী বিশ্বকাপে যাওয়াটা টাইগারদের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য বাংলাদেশকে খেলতে হবে লম্বা বাছাই পর্ব। তবে বাছাইপর্বের ধরনটা একটু ভিন্ন। সাকিব-মুশফিকদের ঘরে-বাইরে মোট আটটি ওয়ানডে সিরিজ খেলতে হবে।

সবশেষ বিশ্বকাপে র‌্যাঙ্কিংয়ের সাতে থাকায় সরাসরি যুক্তরাজ্যের বিমানের টিকিট ধরেছিল বাংলাদেশ। এবার র‌্যাঙ্কিংয়ের কোনো বিষয় নয়। আটটি সিরিজের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে টাইগারদের ভাগ্য। তাই প্রতিটি সিরিজকেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের পরীক্ষা হিসেবে নিতে হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। আগামী বছর শুরু মে মাসে শুরু হবে টাইগারদের মিশন।

সিরিজগুলো শেষে সেরা আটে থাকতে পারলে সবশেষ আসরের মতো আগামী বিশ্বকাপেও সরাসরি অংশ নিতে পারবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকতে না পারলে টাইগারদের খেলেতে হবে আরেকটি বাছাইপর্ব। টাইগাররা অবশ্য সেই পথে হাঁটতে চাইবে না। ২০১৯ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি করতে চাইবে।

পরবর্তী বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে ঘরের মাঠে চারটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর দেশের বাইরে চারটি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। কিন্তু কোনো সিরিজেই সাকিব-মুশফিকরা পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে না। আগামী ২০২২ সালের মার্চে বাংলাদেশ অষ্টম ও শেষ সিরিজটি খেলবে।

বিশ্বকাপের মিশনে বাংলাদেশের সিরিজ:

২০২০ মে, আয়ারল্যান্ড -অ্যাওয়ে
২০২০ ডিসেম্বর, শ্রীলঙ্কা -হোম
২০২১ জানুয়ারি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ -হোম
২০২১ ফের্রুয়ারি, নিউজিল্যান্ড -অ্যাওয়ে
২০২১ জুন, জিম্বাবুয়ে -অ্যাওয়ে

২০২১ অক্টোবর ইংল্যান্ড -হোম
২০২২ ফের্রুয়ারি আফগানিস্তান -হোম
২০২২ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা -অ্যাওয়ে