মোস্তাফিজের ধার বাড়াতে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তির বিশেষ পরামর্শ

যখন বল হাতে ছুটতেন চামিন্দা ভাস ছিলেন সাক্ষাৎ এক আতঙ্ক। দুই দিকেই সুইং পেতেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ ভয়ঙ্কর ছিলেন শ্রীলঙ্কার এই বাঁহাতি কিংবদন্তি পেসার। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল ওয়াসিম আকরামের। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া ভাস এখন পুরোদমে কোচ। তার অধীনে বাংলাদেশ সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং ক্রিকেট দল।

সফরে দেশের এক জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি। সেখানে বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শও দিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল বাড়তি সুইং করিয়ে ভেতরে ঢুকাতে পারতেন। এই বলে বহু উইকেট পেয়েছেন ভাস। লঙ্কান কিংবদন্তির মতে, বাঁহাতি পেসারদের জন্য খুব দরকারি এই বল। তবে মোস্তাফিজ কেনো নিয়মিত পারছে না?

ভাস বলেন, 'মুস্তাফিজ বেশিরভাগ সময় বল বাইরে নেওয়ার চেষ্টাই করে (ডানহাতির জন্য)। যেটা তার সহজাত অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যায়। কাটার করে প্রচুর। টি-টোয়েন্টির যুগে টিকে থাকা সহজ নয়। সে হয়তো রান বাঁচানোর বোলিং করছে। ভেতরে আনতে গেলে লাইন-লেংথ একটু এদিক-সেদিক হলে মার খাওয়ার সুযোগ থাকে। সে হয়তো তাই নিরাপদ পথে বেশি হাঁটছে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই সে প্রচুর টি-টোয়েন্টি খেলেছে বলে এটা হতে পারে। '

ভাস বলেন, 'রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের ভাবনা বেশি থাকে। আমাদের যুগে টিকে থাকার উপায় একটিই ছিল, উইকেট নেওয়া। এখন তো টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময় রান বাঁচানোই মুখ্য। অনেক বোলারও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করে তোলে।'

তবে বর্তমান ক্রিকেটের দাবি মিটিয়েও মোস্তাফিজকে এই বিশেষ বোলিং শেখানোর রাস্তা বাতলে দিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি। ভাস বলেন, 'এখন তো প্রযুক্তির যুগ। বল ভেতরে আনার পদ্ধতিটা দেখা তো কোনো ব্যাপারই না। অসংখ্য ভিডিও ওরা দেখতে পারে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী অনুশীলন করতে হবে। অনেক ঘাম ঝরাতে হবে। যদি মুস্তাফিজ ভালো ফাস্ট বোলিং কোচের হাতে পড়ে ও পরিশ্রম করে, তাহলে আমি নিশ্চিত সেও বল ভেতরে আনতে পারবে। কারণ এটা তার লাগবেই। বাঁহাতি পেসারদের জন্য বল ভেতরে আনা আবশ্যিক একটা ব্যাপার। এটি না পারলে পূর্ণাঙ্গ বাঁহাতি পেসার হওয়া যাবে না।'