ইমরান: ভারতের সঙ্গে আলোচনার কোনো অবস্থা নেই

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার আর কোনো আগ্রহ বা অবস্থা নেই। এ ছাড়া পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ দু্ই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বুধবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। কাশ্মির ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আলোচনার একদিন পরই এ সাক্ষাৎকার দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ৫ আগস্টের আগে ও পরে বার বার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো মানে নেই। আমি অনেক কথা বলেছি। এখন আমি দেখছি, আমি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি, আর তারা একে দুর্বলতা বলে মনে করেছে। আমাদের এর বেশি আর কিছু করার নেই।’

গত ৫ আগস্ট কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর এর আগেও বার বার ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের সমালোচনা করেছেন ইমরান খান। আর ওই ঘটনার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি।

ইমরান খান বলেন, কাশ্মিরে ভারত কোনো ভুল অভিযান চালাতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, তখন পাকিস্তানও জবাব দিতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ যখন চোখে চোখ রেখে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেয় তখন যেকোনো কিছুই হতে পারে। বিশ্ব শান্তির জন্য যা ভালো কিছু নয়।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যা দুটিই হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। পাকিস্তান ও ভারত পুরো কাশ্মির দাবি করলেও দুই দেশ নিয়ন্ত্রণ করে দুই অংশ।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে কাশ্মির সীমান্তে চলছে তুমুল উত্তেজনা।