এফএটিএফের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের কালো তালিকায় পাকিস্তান

দুর্নীতি, জঙ্গি দমনসহ বেশ কিছু বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) অধীনস্থ দ্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি)।

তবে এ থেকে বেরিয়ে আসতে আগামী এক মাস সময় পাবে পাকিস্তান। তার মধ্যে যথাযথ উদ্যোগ না নিলে অক্টোবরে বড় ধরনের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে ইসলামাবাদ।

ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অর্থের জোগানসহ আর্থিক তছরুপ বা জালিয়াতি, দুর্নীতির মতো বিষয়ে নজরদারি ও তদারকি করে এফএটিএফ।

গত বছরের জুন মাসে পাকিস্তানকে ‘গ্রে’ তালিকাভুক্ত করেছিল সংস্থাটি। তখন ২৭টি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা পাকিস্তানকে। যার অন্যতম ছিল সেদেশে গজিয়ে উঠা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও জঙ্গিদের যাবতীয় আর্থিক মদতের রাস্তা বন্ধ করা। ১৫ মাস সময় দিয়ে পাকিস্তানকে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল।

আগামী মাসেই সেই সময়সীমা শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু তার আগেই সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় দুই দিনব্যাপী বৈঠক করে এফএটিএফের ৪১ সদস্যের প্লেনারি। সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রধানসহ ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদলকে সেখানে পাঠিয়েছিল ইসলামাবাদ।

সন্ত্রাস দমনে ইমরান খান সরকার এখন পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে তাদের উপস্থিতিতেই সবিস্তার আলোচনা হয়। কিন্তু তাতে দেখা যায়, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য এবং আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধের যে মাপকাঠি তৈরি করা হয়েছিল, তার ৪০টি শর্তের মধ্যে এখনও ৩২টিই পূরণ করে উঠতে পারেনি ইসলামাবাদ। আর তাই পাকিস্তানকে আগাম কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

আগামী এক মাসের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির মতো সংস্থার কাছ থেকে এমনকি মার্কিন আর্থিক সাহায্য পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে ইমরান খানের সরকারকে।