নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মার্কিন নৌ মহড়ায় মিয়ানমার

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নৌ মহড়ায় যোগ দিচ্ছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। যদিও ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। তারপরও আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ মহড়ায় মিয়ানমার বাহিনীর অংশগ্রহণের বিষয়টি জোরশোরেই উঠেছে।

নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের কার্যালয়ের মুখপাত্র জ মিন তুন।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে ৭ লাখ ৪০ হাজার (প্রকৃত সংখ্যা হবে প্রায় ১২ লাখ) রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সেই ঘটনায় মিয়ানমার সেনা প্রধান ও তিন সিনিয়র কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত ছিল, মিয়ানমার নৌবাহিনীও।

সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে থাইল্যান্ড উপসাগরে আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশ নিয়ে গঠিত এই আঞ্চলিক জোটের নৌমহড়া শুরু হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অংশ নেবে মিয়ানমার।

নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে যখন আরও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি এবং একঘরে করার দাবি উঠছে ঠিক তখনই মিয়ানমারকে নিয়ে নৌমহড়ায় অংশগ্রহণ করায় দেশ-বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের মুখপাত্র জন কুইনলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা।

রোহিঙ্গা বিষয়ক মানবাধিকার কর্মী তুন কিন যৌথ মহড়াকে ‘অত্যন্ত বেদনার’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর প্রধানকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করার এক সপ্তাহ পরই যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তাদের সঙ্গে মহড়া করছে? এটা অবশ্যই এক ধরনের তামাশা।’