চাঞ্চল্যকর তথ্য: গোপন স্থানে নাকি পরমাণু অস্ত্র মজুদ করছে পাকিস্তান

মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে অঞ্চলটিকে দুই ভাগ করে কেন্দ্রের শাসন জারি করেছে ভারতের মোদি সরকার। চলতি মাসের শুরুর দিকের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছে। উত্তেজনাকর এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

ভারতের কলকাতা২৪ জানিয়েছে, সম্প্রতি একদল মার্কিন গবেষক জানিয়েছে, পাকিস্তান তাদের পরমাণু অস্ত্রগুলো অন্তত নয়টি গোপন স্থানে মজুদ করছে এবং পারমাণু অস্ত্রের পরিমাণও ক্রমশ বাড়াচ্ছে। বর্তমানে দেশটির হাতে অন্তত ১৩০ থেকে ১৪০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোপন নয়টি স্থানের মধ্যে চারটি পাকিস্তানের পঞ্জাবে কাছে, তিনটি সিন্ধুর কাছে এবং বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ারের কাছে একটি করে অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এ সব অস্ত্র ভান্ডারের অধিকাংশই মাটির নিচে করা হয়েছে।

স্থানগুলো হলো: আকরো গ্যারিসন (সিন্ধু প্রদেশ), গুজরানওয়ালা গ্যারিস (পাঞ্জাব), খুজদার গ্যারিসন (বালোচিস্তান), মাসরুর ডিপো (করাচি), ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (পাঞ্জাব), পানো আকিল গ্যারিসন (সিন্ধ), সরগোড়া ডিপো (পাঞ্জাব), তারবালা ডিপো (খাইবার পাখতুনখাওয়া) ও ওয়ার অর্ডিন্যান্স ফেসিলিটি (পাঞ্জাব)।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট চিত্র, বিভিন্ন গবেষণার তথ্য এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করেছেন। তবে স্থানগুলো নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

এ সব তথ্যের সঙ্গে ‘ফেডারশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্ট’ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্রের পরিমাণ ও মজুতই বাড়াচ্ছে না, বরং অস্ত্রের গুণগত মানও বাড়াচ্ছে। প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক পরমাণু শক্তিধর ভারতের মোকাবেলায় পাকিস্তান এমন কৌশল নিয়েছে বলে ধারণা গবেষকদের।

এদিকে আজই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করছে পাকিস্তান, যার ফলে দেশ দুটির মধ্যকার উত্তেজনাকর সম্পর্কের আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, গতকাল পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রসিদ আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে অক্টোবর বা নভেম্বরের দিকে পাকিস্তানের ভয়াবহ যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। কাশ্মির সমস্যা শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে বিষয়টি পারমাণু যুদ্ধের দিকে যেতে পারে।

এর সপ্তাহখানেক আগে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর গত ২৬ আগস্ট একই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ জন্য ভারতকে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে বলে সতর্ক করেন ইমরান খান।