জলপথে ঢুকতে পারে পাক কমান্ডো, গুজরাটে সর্বোচ্চ সতর্কতা

কাশ্মির ইস্যুতে পাক-ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে প্রায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতীয় গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন যে, জলপথে পাকিস্তানি কমান্ডো অথবা বিদ্রোহীরা ভারতে ঢুকে হামলা চালাতে পারে। আর সে কারণে দেশটির গুজরাট রাজ্যের সকল বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, গুজরাটের যেকোনো বন্দর দিয়েই ঢুকে পড়তে পারে প্রশিক্ষিত পাক কমান্ডো বা বিদ্রোহীরা। এমনই গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে বন্দরগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাণ্ডলা, মুন্দ্রাসহ সব বন্দরেই জাহাজগুলির ওপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই পুলিশ বা উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানাতে বলা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ঠিক কোন জায়গা দিয়ে হামলাকারীরা ঢুকতে পারে, সেই নির্দিষ্ট তথ্যও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। আদানি পোর্ট ও স্পেশাল ইকনমিক জোনের (সেজ) পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর কার্যালয় থেকে তাদের জানানো হয়েছে, কচ্ছ উপসাগরের হারামি নালা বা স্যর ক্রিক খাড়ি দিয়ে হামলাকারীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে। যারা পানির নিচে হামলা চালানোতেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

সতর্কতা জারি করে উপকূল রক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, সম্ভাব্য পাক হানার আশঙ্কায় নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে।’

কী ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, তারও একটি গাইডলাইন দিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রস্তুত থাকতে এবং ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি রাখতে হবে। স্পর্শকাতর এলাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তল্লাশি চালাতে হবে সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা নৌকা দেখলেই। উপকূল বরাবর স্থলভাগের সমস্ত অফিস বা বাড়িতে পার্ক করা গাড়িতেও তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে চলছে ২৪ ঘণ্টা টহল।