রশিদ খানের পাঁচ চ্যালেঞ্জ

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন রশিদ খান। আফগান স্পিন জাদুকরের লক্ষ্য এখন টেস্ট ক্রিকেটেও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার। এ যাত্রায় কাজটা আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ আফগানিস্তানের তিন ফরেমেটেরই অধিনায়ক তিনি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ও নেতৃত্বগুণ সবমিলিয়ে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে রশিদের জন্য। এবং সেটা আগামী পরশু থেকেই। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ সফরে রশিদের চ্যালেঞ্জগুলো:

দলকে চাঙা রাখা: সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে আফগানিস্তানের। চমক দেখানোর যে আশায় যুক্তরাজ্যে গিয়েছিল তারা, সেই আশা শেষ পর্যন্ত হতাশায় পরিণত হয়েছে। বড় মঞ্চের সবকটি ম্যাচেই হেরেছে আফগানরা। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে দলটির ড্রেসিংরুমে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এই দলটাকে চাঙা করাটা রশিদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

নতুন কোচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া: বিশ্বকাপ শেষে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে ফেলেছেন ফিল সিমন্স। এমন একজন কোচের প্রস্থান আফগানদের জন্য একটা ধাক্কা। আপাতত সিমন্সের শূন্যস্থান পূরণ করছেন অ্যান্ডি মোলস। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদে কোচ নিয়োগ দেবে আফগানিস্তান। তার আগ পর্যন্ত মোলসের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটা রশিদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।

অধিনায়কত্ব এবং ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স: অধিনায়কত্ব বরাবরই যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য একটা বাড়তি চাপ। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও বিবেচনায় রাখতে হয়। এই দুটি কাজ এক সঙ্গে করা যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই কঠিন। বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে এক সঙ্গে এই দুই জায়গায় সফল হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে রশিদকে।

ব্যাট হাতে ধারাবাহিতা: বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ভালোই ভুগিয়েছে আফগানিস্তানকে। আফগানদের ব্যাটিংয়ের শৃঙ্খলা অনেকটা নষ্ট হয়েই গেছে বলা যায়। বিশ্বকাপে ভরাডুবির এটাই সবচেয়ে বড় কারণ ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষেও এই কন্ডিশনে ব্যাট করা সফরকারীদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা। যদি ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হতে পারেন তাহলে আসন্ন টেস্টে সফল হতে পারে আফগানিস্তান।

তরুণদের সহায়তা করা: যে বয়সে রশিদ অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এই বয়সে অনেক রথী-মহারথীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি। রশিদ নিজেও বয়সে এখনো বেশ তরুণ। বলা যায় তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একজন মডেল! নিজে এখনো তরুণ। অথচ তাকেই এখন তরুণদের সহায়তা করতে হচ্ছে। জাতীয় দলে থাকা নতুনদের অনুপ্রাণিত করতে হচ্ছে। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। এই চ্যালেঞ্জে আফগান দলপতি কতটা উতরাতে পারেন সেটার উত্তর ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাকল।