পেসারদের সমস্যা কোথায় জানেন না সাকিব

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রায়সব জয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন স্পিনাররা। লাল বলের ক্রিকেটে পারফর্ম করার মতো পেসার টাইগারদের নেই বললেই চলে। দেশে হোক কিংবা বিদেশে, টাইগারদের টেস্ট দলে স্পিনারদের আধিক্য থাকার ঘটনা অহরহ। পেসারবিহীন টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে বাংলাদেশের। তাতে করে পেসাররা যেমন নিরাশ হচ্ছেন, তেমনি অন্য দলগুলোর কাছে টাইগাররা হচ্ছে সমালোচিত।

ওসব সমালোচনাকে পাত্তা দেন না বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কেন এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেন না সেটার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। আজ চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এসব পাত্তা দেই না। কারণ যখন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় খেলা হয়, তারা চার সিমার নিয়ে খেলে; কোনো স্পিনার খেলে না। আমরা তো সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করি না।’

সাকিব আরো বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না এগুলো নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমি একদমই ভাবি না। আমাদের চিন্তা থাকবে ম্যাচটি (চট্টগ্রাম টেস্ট) জেতার। সেটি যদি দুজন সিমার বা তিন সিমার নিয়ে খেলতে হয়, খেলব। এক সিমার নিয়ে খেলতে হলে তাই করব। পরিকল্পনা যাই করি না কেন, সেটাতে অটল থাকার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশ দলের এই পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে থাকেন স্পিনাররা। তাহলে বাংলাদেশের টেস্ট দলে পেসারদের কার্যকারিতা কী? পেসারদের পারফর্ম করতে না পারার নেপথ্য কারণই বা কী? উত্তরে সাকিব বলেছেন, ‘বলা মুশকিল, কীসের অভাব। আমি যেহেতু পেস বোলার নই, ওদের মনমানসিকতা আমার জন্য বোঝা কঠিন। একটা কারণ হতে পারে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা এতটা বোলিং করে অভ্যস্ত নয়। হয়তো ফিটনেসে সমস্যা থাকতে পারে। যাহোক, আমি নিশ্চিত- নতুন যিনি পেস বোলিং কোচ এসেছেন, বোলারদের সঙ্গে ওসব নিয়ে কাজ করবেন এবং এই জায়গাগুলিতে উন্নতি করবে ওরা।’

চট্টগ্রাম টেস্টে আসলে পেস ইউনিট নয়, সাকিব ভাবছেন দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ভালোই ভুগিয়েছে দলকে। কাল থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের লড়াইটাই গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। এ জন্য ব্যাটিং বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছেন সাকিব। তবে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে সতর্ক সাকিব। বলেছেন, ‘ওরা এতদিন ধরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো খেলছে। স্বাভাবিকভাবেই হয়তো ফরমেট ভিন্ন বলে আমরাও ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। ওদের দলে এ রকম ক্রিকেটার আছেন যারা ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।’

সাকিব আরো বলেছেন, ‘দেখুন দেশে আমরা তো ভালোই বোলিং করেছি। আমাদের স্পিনাররা যখনই সুযোগ পেয়েছে, তাদের পছন্দ মতো উইকেট যখন পেয়েছে, সবসময়ই ভালো করেছে। তবে সেটি বলার পরও, ওদেরও কোয়ালিটি স্পিনার আছে। আমার মনে হয় যে, পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এখানে দুই দলের ব্যাটিংটাই।’