এমনই স্বপ্ন ছিলো মাশরাফির

এ দেশের কোটি তরুণ তাকে আদর্শ মানেন। তার নাম বলতেই পাগল সবাই। সেই মাশরাফিই এবার কাজ করবেন তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বৃহস্পতিবার তার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজধানীর এক হোটেলে উইএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নাম ঘোষণার পর মাশরাফি বলেন, ‘আমার স্বপ্নই ছিলো কিছু করার। আমি সব সময়ই বাংলাদেশের তরুণদের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি তরুণরাই একদিন বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত করবে।’

১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে ইউএনডিপি। এতো বছরে এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে কোনো শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ দিলো তারা। সব মিলিয়ে সারা বিশ্ব থেকে মোট চারজন ক্রিকেটারকে শুভেচ্ছা দূতের সম্মান দিয়েছে ইউএনডিপি।

মাশরাফির আগে ক্রিকেটার হিসেবে দূত হয়েছেন শচিন টেন্ডুলকার, শহিদ আফ্রিদি ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। তারা প্রত্যেকেই নিজ দেশের জাতীয় দূত ছিলেন। মাশরাফিও বাংলাদেশে একই ভূমিকা পালন করবেন।

ইউএনডিপির কর্মকর্তা লামিয়া ইসলাম মাশরাফির ভূমিকা বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের তুমুল সম্ভাবনাময় তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ নিয়ে জ্ঞান দিতে চাই। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। এখন বাংলাদেশের আড়াই লাখ তরুণ ফ্রিল্যান্সিং করছে। আরো অনেক সম্ভাবনা আছে। আমাদের বিশ্বাস এই খাতে তাদেরকে আরো অনেক কিছু করার সুযোগ দেয়া সম্ভব। মাশরাফি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য কাজ করবেন।’

মাশরাফিকে ইউএনডিপিতে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করার জন্য আমরা সুযোগ্য ব্যক্তিকেই পছন্দ করেছি। মাশরাফিকে ইউএনডিপি পরিবারে যুক্ত করতে পেরে আমরা সত্যি খুব আনন্দিত।’

মাশরাফিও ইউএনডিপিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে তরুণদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য ইউএনডিপিকে ধন্যবাদ জানাই। চেষ্টা করবো আমার জায়গা থেকে বাংলাদেশর তরুণদের জন্য সেরা কাজটা করার।’

আপনি আরো পড়তে পারেন

বড় হারই বরণ করতে হলো মাশরাফিদের

আরো একবার অবসর ভাঙছেন আফ্রিদি!