জাতিসংঘে দেওয়া দীর্ঘ বক্তৃতায় যা বললেন ইমরান খান

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার আগে বক্তৃতা দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে মোদির চেয়েও বেশি সময় নিয়ে ভাষণ দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার ভাষণে ইমরান খান বলেন, ইসলামিক সন্ত্রাস বলতে কিছু হয় না, সামাজিক অবিচার উগ্রপন্থার জন্ম দেয়।

কাশ্মির ইস্যুতে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ভারতের অ্যাজেন্ডা পরিষ্কার। কাশ্মিরে ওরা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তাতে উপত্যকার কোনো যুবক ফের পুলওয়ামার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। তখন ভারত ফের দায়ী করতে পারে পাকিস্তানকে। উপমহাদেশের দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যেতে পারে যুদ্ধ।

ইমরান খান আরো বলেন, ভারত পাকিস্তানের তুলনায় আয়তনে সাত গুণ বড়। একটা বড় দেশ যখন একটা ছোট দেশের ওপর আক্রমণ করে, তখন কী পরিণতি হতে পারে। হয় ছোট দেশ আত্মসমর্পণ করবে, না হলে নিজে শেষ হলেও প্রাণ থাকা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। আমার বিবেকও তাই বলে। আর যখন পরমাণু শক্তিধর একটা ছোট দেশ জীবন পণ রেখে যুদ্ধ করবে তার ফল ভুগতে হতে পারে গোটা বিশ্বকে।

এর আগে মোদি তার নাতিদীর্ঘ বক্তৃতায় বলেন, ‘যুদ্ধ নয় বুদ্ধ দিয়েছি আমরা। সন্ত্রাসবাদ রুখে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ভারতের বৃহত্তর লক্ষ্য।’

দুটি বিবাদমান রাষ্ট্রের মধ্যে সমূহ সংঘাতের কথা বলতে গিয়ে ইমরান বলেন, কাশ্মিরে ৯০ লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। তার পর বলছে, পাক অধিকৃত কাশ্মিরে নাকি পাঁচশ প্রশিক্ষিত ‘সন্ত্রাসবাদী’ অপেক্ষা করছে ভারতে ঢোকার জন্য।

জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্দেশে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামাবাদের আবেদন, এই সংঘাত আপনারাই ঠেকাতে পারেন। নইলে জাতিসংঘের অস্তিত্বই তো অর্থহীন হয়ে পড়বে।