খুলনা সিলেটের জয়, বাকি দুই ম্যাচ ড্র

দ্বিতীয় রাউন্ডে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চার ম্যাচের দুটি নিস্ফলা ড্র হয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে রংপুর বিভাগকে সাত উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। অপরটিতে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আট উইকেটে জিতেছে সিলেট বিভাগ।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের প্রতিরোধ সামলে দাপুটে জয় পেয়েছে সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জাতীয় লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলা অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। ২৪৩ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ১১১ রান করেন রিয়াদ। শাহিদুল ইসলাম করেন ৪২ রান। যাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০১ রানের লিড দাঁড়ায় সিলেটের সামনে।

চতুর্থ ইনিংসে ইমতিয়াজ হোসেন ও জাকির হাসানের ব্যাটে আজ কঠিন রাস্তাটা সহজভাবেই পাড়ি দিয়েছে সিলেট। দলীয় ২৪ রানের মাথায় ওপেনার তৌফিক খানকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ১৬২ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ ও জাকির। জাকির ৭২ রান করে আউট হলেও ইমতিয়াজ দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন। ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ৩৪ বছর বয়সী ওপেনার।

খুলনায় খুলনা বিভাগের সাত উইকেটে জয়ের দিনে রান পেয়েছেন সৌম্য সরকার। আল-আমিন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস ১৭০ রানে থেমে গেলে খুলনার সামনে লিড দাঁড়ায় ১২৩। দীর্ঘদিন অফ ফর্মে থাকা সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই টার্গেট সহজেই পেরিয়ে গেছে খুলনা। সৌম্য ওপেনিংয়ে নেমে ৫৯ বল খেলে ৩টি করে চার, ছয় হাঁকিয়ে ৫০ রান করেছেন। খুলনার অন্য ব্যাটসম্যানরাও দ্রুত রান তুলতে চেয়েছেন। যাতে তিন উইকেটে ২২.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে দলটি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে রংপুর বিভাগের ম্যাচটি অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ঢাকার ৫৫৬ রানের জবাব দিতে নেমে ৫০৮ রান তোলে রংপুর। পরে ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলতেই ম্যাচে ড্র নিশ্চিত হয়ে যায়।

ফতুল্লায় চট্টগ্রাম বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হলেও একটা পর্যায়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল চট্টগ্রাম। ৩৩৬ রানের লিড তাড়া করতে নেমে ১২৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বরিশাল। সেখান থেকে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধে ম্যাচ বাঁচিয়েছে বরিশাল। দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের স্কোর যখন ১৭৪/৭ তখন চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়। দলটির হয়ে রান পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৬০ রান করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।