ব্রিটেনে নতুন যুগের উদয়

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নিজেদের বের করে নিল ব্রিটেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর নানা চড়াই-উতরাইয়ের পর অবশেষে কার্যকর হলো ব্রিটেনের এ পদক্ষেপ। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট কার্যকর হয়।

এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ৪৭ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলো ব্রিটেন। এ ঘটনাকে দেশটির ‘নতুন যুগের উদয়’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বরিস জনসন বলেন, নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। ব্রেক্সিটের মাধ্যমে কিছু শেষ হচ্ছে না বরং অনেক কিছু শুরু হচ্ছে।

আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক বহাল থাকবে দেশটির। তবে এ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো প্রশাসনিক কাজ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না ব্রিটেন।

অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থার কারণ হচ্ছে যেসব ব্রিটিশ নাগরিক ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মরত আছেন তারা সেখান থেকে বের হয়ে নতুন চাকরি খুঁজবেন এবং এজন্য সময় প্রয়োজন। তাছাড়া ব্রিটেনের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নতুন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি ঐতিহাসিক ভোটে অনুমোদন পায়। এরপর পার্লামেন্টের বাকি ২৭ সদস্য রাষ্ট্র চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ব্রিটেনকে বিদায় জানাতে ব্রাসেলসের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সামনে বিশেষ আলোকসজ্জা ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়৷

গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইউরোপীয় পরিষদ ভবনের সামনে সদস্য রাষ্ট্রের পতাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে আনা হয়৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ব্রিটিশ পতাকাটি জাদুঘরে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে।