ত্রাণের দাবিতে এরশাদের ‘পল্লী নিবাস’ ঘেরাও

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সব কিছু বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ঘরে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য দিলেও দেশের অনেক অঞ্চলের মানুষ তা ঠিকভাবে পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই আবার ত্রাণ দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে।

ত্রাণের দাবিতে প্রয়াত এরশাদের পল্লী নিবাস ঘেরাও

এই যখন অবস্থা তখন আজ বৃহস্পতিবার খাদ্যের দাবিতে রংপুর সদর আসনের এমপি সাদ এরশাদের রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকার বাসভবন ‘পল্লী নিবাস’ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন অসংখ্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় আসেন না সাদ এরশাদ। এলাকার মানুষের কোনো খোঁজ-খবর নেন না। করোনাভাইরাসের কারণে সবাই অনেক কষ্টে আছে। তারপরও এলাকায় আসেননি তিনি। খাদ্য সহায়তা বা ত্রাণ বিতরণের কোনো ব্যবস্থা নেননি। খাবারের অভাবে সবাই কষ্টে আছেন।

অথচ উনার বাবা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ জীবিত থাকাকালে সব সময় এলাকার গরিব মানুষসহ রংপুরের সর্বস্তরের জনগণের পাশে থাকতেন। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিতেন। কেউ অসুবিধায় থাকলে তাকে সাহায্য করতেন। কখনও কেউ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরে যায়নি।

তারা অভিযোগ করে বলেন, আর উনার ছেলে ভোট নেয়ার সময় অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কোনো খোঁজও নেয় না। উনি ঢাকায় এসি রুমে বসে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। ব্যক্তিগত তহবিল তো দূরের কথা, এমপির জন্য বরাদ্দ করা চালও বিতরণ করছেন না। অবিলম্বে যদি খাদ্যের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে তার বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি চলবে।

ত্রাণের দাবিতে প্রয়াত এরশাদের পল্লী নিবাস ঘেরাও

জাপার স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাও একই অভিযোগ করেন। তারা বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দুই তিনবার রংপুরে এসেছিলেন। কিন্তু এলাকার খোঁজখবর না নিয়ে শুধু দাওয়াত খেয়ে বেড়িয়েছেন। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ডাকেন না। কিছু সুবিধাভোগী এখন সাদ এরশাদের প্রিয় পাত্র। তাই এখন আর সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাদ এরশাদ ফোনে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এমপি হিসেবে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নাই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেককেই সহায়তা করা হয়েছে।