আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় বিশ্বব্যাপী লকডাউনের যে নিয়ম মানা হচ্ছে তার কারণে এই মহামারি আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি বিশেষজ্ঞ নট উইটকোভস্কি। তিনি বলেন, এই নিয়ম না রেখে মানষকে সাধারণ জীবনযাপন করতে দিলেই মহামারি তাড়াতাড়ি চলে যেত বলে বিশ্বাস আমার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

new york lockdownলকডাউনে ফাঁকা নিউইয়র্কের রাস্তা

নিউইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব পরিসংখ্যান, মহামারিতত্ত্ব ও গবেষণা ডিজাইন বিভাগের সাবেক এ প্রধান অধ্যাপক বলেন, লকডাউন না করে আমাদের জনগণকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে রাখার প্রয়োজন ছিল। সে অবস্থায় অসুস্থদের একটু যত্ন করলেই ভাইরাসের মহামারি তাড়াতাড়ি শেষ হতো।

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি বক্ররেখাকে সমতল করার চেষ্টায় আছি। কিন্তু এই বিষয়টি মাথায় আনছি না যে, সমতল করার নামে আমরা রেখাটিকে দীর্ঘায়িত করছি। লকডাউন তেমনই দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত একটি রোগ জনগণের মধ্যে এতো দীর্ঘায়িত করার কোনো যৌক্তিক কারণ আমি দেখছি না।

নট উইটকোভস্কি বলেন, শ্বাসযন্ত্রের যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে এটা সত্য যে, এই রোগকে একমাত্র থামাতে পারে গণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। আমার মতে ৮০ শতাংশ জনগণকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আসতে দেয়া উচিত। এতে করে মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। আমার জানা মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীরই কিছু হয় না। বিশেষ করে শিশুদের এই ভাইরাস তেমন কিছুই করতে পারে না।

lockdown in franceলকডাউনে ফাঁকা প্যারিসের আইফেল টাওয়ার এলাকা

তিনি বলেন, তাই আমি মনে করি, স্কুলগুলো খুলে দেয়া উচিত। এতে করে শিশুরা সামাজিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ পাবে। তবে সেইসঙ্গে কিছু ব্যাপার সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে। অন্তত চার সপ্তাহ তাদের থেকে বয়স্কদের আলাদা করে রাখতে হবে। এই সময়ে শিশুদের শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এরপর তাদের সঙ্গে বয়স্কদের মেলামেশায় কোনো সমস্যা থাকবে না আশা করা যায়।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় আমরা জেনেছি, শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের মহামারির উদ্ভব হলে তা দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে এবং পরে নির্মূল হয়ে যায়। কিন্তু লকডাউনের মতো সিস্টেম করে এ ভাইরাসকে যদি আটকে রাখা হয় তাহলে অবশ্যই ভাইরাস নির্মূল পদ্ধতি দীর্ঘ হবে। সামাজিক দূরত্ব, ঘরে বসে থাকা কোনো কিছুই কাজে আসবে না। কারণ কোনো না কোনো সময় আপনাকে অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসতেই হচ্ছে। সে থেকেই আপনি সংক্রমিত হতে পারেন এবং আপনার থেকে পরিবারের অন্যান্যরা।

tweenty day lockdown in indiaলকডাউনে ফাঁকা ভারতের রাস্তা

এই মহামারি বিশেষজ্ঞ বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। লকডাউনেও তারা অন্যের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করবেই। যা থেকে সহজে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় ভাইরাসের নির্মূল হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। যতদিন আমরা লকডাউন দিয়ে এই ভাইরাসকে আটকে রাখবো ততদিন এটি আমাদের মধ্যে টিকে থাকবে। যত তাড়াতাড়ি এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যাবে তত তাড়াতাড়ি এটি গায়েব হয়ে যাবে। কারণ এই ভাইরাসে সবাই মরে না। খুব সীমিত সংখ্যক মানুষের ভাগ্য খারাপ থাকে। যারা বেঁচে যায় তাদের দেহে তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.