আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের সময়কে 'সুযোগ' হিসেবে নিয়ে ভারতীয় সরকার প্রগতিশীল কর্মী, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জহওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্রনেতা। তিনি এই অভিযোগটি করলেন, যখন গত ফেব্রুয়ারিতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের উসকানিতে ভারতের দিল্লিতে যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সংগঠিত হয়, তার দায়ে দুজন মুসলিম শিক্ষার্থী ও অধিকারকর্মীকে 'বানোয়াট' অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।

india exploiting lockdown to target muslim

গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই ছিলো দিল্লির সবচেয়ে বড় দাঙ্গা। যাতে অন্তত ৫১ জনের মৃত্যুর হয়। এর মধ্যে ৩৬ জন মুসলিম ও বাকিরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। যদিও কিছু অসমর্থিত সূত্র মতে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

মিরান হায়দার ও সাফুরা জারগার নামের ওই দুই মুসলিম শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তা মূলত সন্ত্রাসবিরোধী একটি আইন। এই আইনে অন্তত ছয় মাসের জেল হতে পারে তাদের।

তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলোর পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত; এই অভিযোগে বলা হচ্ছে, তারা বিভিন্ন সভায় টানা বক্তৃতার মাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়েছেন, পুলিশের দাবি মতে এই ঘটনাই দিল্লির দাঙ্গাকে তরান্বিত করেছে। এই শিক্ষার্থী দুজনকে এপ্রিলের এক তারিখে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়, এবং তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ, খুন, অস্ত্র বহন, মারামারিতে উসকানি, খুনের উদ্যোগ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় লোকদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদের সাথে আরো ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো, কিন্তু এপ্রিলের শুরুর দিকে জামিনে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।

পুলিশি প্রতিবেদন মতে, তারা এই শিক্ষার্থিদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, পেট্রোল বোম, এসিডের বোতল এবং পাথর উদ্ধার করেছে। তবে তাদের হয়ে লড়াই করা আইনজীবীরা বলছেন, পুলিশি এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ নেই।

বিশ্লেষকদের দাবি, এই দাঙ্গার মূল উসকানি এসেছিলো বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর এক বক্তবের কারণে। তিনি নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা মুসলিমদের বিপক্ষে হিন্দুদের উসকানি দেন। এমন কিছু ভিডিও প্রমাণ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মতে, পুলিশও হিন্দু জনতাকে দাঙ্গা সংগঠনে সহায়তা করেছে।

পিএইচডি স্টুডেন্ট হায়দারের আইনজীবী আকরাম খান বলেন, “দাঙ্গার সাথে আমার মক্কেলের কোনো রকম সংযোগ ছিলো না। সে এমন কি দাঙ্গার সময় উপস্থিতই ছিলো না। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণিত নয়। তবে সে দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছিলো এবং পুলিশ তাকে চিনতো। পুলিশ এখনো পূর্ণ অভিযোগপত্রও দাখিল করেনি।”

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা শেহলা রাশিদ টুইটারে বলেন, “এবং আরো একট বানোয়াট অভিযোগ ছাত্রদের আটক করা হলো। এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে ভারতীয় সরকার লকডাউনের সময়কে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে প্রগতিশীল কর্মী, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের নির্যাতন করছে।” গার্ডিয়ান।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.