করোনার মধ্যেই বেড়েছে মোদির জনপ্রিয়তা

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে একটি সংকটময় সময় পার করছে গোটা বিশ্ব। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ১১ শ'র বেশি। লকডাউনের কারণে থমকে গেছে অর্থনীতির চাকাও। অথচ এরই মধ্যে হু হু করে বাড়ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা। আগের তুলনায় বেশি মানুষ এখন তার নেতৃত্বে ভরসা রাখছেন বলে জানিয়েছে একটি মার্কিন সমীক্ষা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি- ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মর্নিং কনসালটেন্ট তাদের এক জরিপে জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, এতে তার প্রতি দেশের মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অনেকটাই বেড়েছে। বেড়েছে তার জনপ্রিয়তাও।

জরিপে আরো বলা হয়, আগে ভারতের ৭৬ শতাংশ জনগণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ভরসা রাখতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমানে ৮৩ শতাংশ মানুষ তার ওপর আস্থা রাখছেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপই নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

তাদের দাবি, ভারতের জনগণ মনে করছে, নরেন্দ্র মোদি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সঠিক সময়ে লকডাউন জারির সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এভাবেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ফলে তার ওপর নতুন করে অনেকেই আস্থা রাখতে শুরু করেছেন।

প্রায় একই ধরনের কথা বলছে ভারতের দুটি সমীক্ষা সংস্থা আইএএসএস এবং সি-ভোটার। তাদের জরিপেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে।

সংস্থা দুটির জরিপ অনুযায়ী, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশেল ৯৩ দশমিক ৫ শতাংশ জনগণ নরেন্দ্র মোদির ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেছে। যেখানে আগে তার জনপ্রিয়তার হার ছিল ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর থেকে ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। গত বছরের নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। বিরোধী দলের নেতারা বিভিন্ন ঘটনার জেরে বার বার মোদির প্রশাসনিক দক্ষাতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তার জনপ্রিয়তা কমাতে পারেননি। যার সত্যতা মিলছে এসব জরিপে।