একসঙ্গে হিট ওয়েভ ও করোনার তাণ্ডব, উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা

মরণঘাতী করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে ১২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭২ হাজারের বেশি। ভাইরাসটির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটি। এর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক দুর্ভোগ। আসছে গ্রীষ্মে হিট ওয়েভের কারণে জনজীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

প্রতীকী ছবি

ফক্স নিউজের বরাতে জানা যায়, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ প্রতিবছর হিট ওয়েভ অর্থাৎ তাপদাহের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এ বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পরিস্থিতি আরো সঙ্কটাপন্ন হবে।

রাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেন, গত মাস থেকেই এখানকার মানুষ সৈকতগুলোতে ভিড় করতে শুরু করেছেন। এর একটিই কারণ তাপমাত্রা বাড়তে থাকা। মহামারির এই সময়ে এই ধরনের কাজ যত বাড়বে বিপদও তত বাড়বে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণা বলছে, এই অঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ মানুষের বাড়িতে এয়ার কন্ডিশন নেই।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এরিক কিনেনবার্গ বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১০ লাখের মতো বয়স্ক নাগরিক আছেন যারা খুব প্রয়োজন ও মেডিকেল চেপ আপ ছাড়া বাড়ির বাইরে যান না। করোনাভাইরাসের কারণে তারা খুব ঝুঁকিতে আছেন। এর মধ্যে তাপ দাহের মতো নির্যাতন তাদের জীবন অতিষ্ট করে তুলতে পারে।

লকডাউনে ফাঁকা নিউইয়র্কের রাস্তা

সব বয়সের মানুষের জন্যই ভাইরাসটি বিপদজ্জনক। প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে সবাই ঘরে থাকছেন, কিন্তু তাপদাহের সময় ঘরে থাকা একটু কঠিন। বিশেষ করে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশন নেই তাদের অবস্থা একদম নাজেহাল হয়ে যায়।

তাপদাহ শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্থানেই সীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য অঞ্চলেও এই সঙ্কট লক্ষ করা যায় গ্রীষ্মের সময়। নিউ ইয়র্ক সিটির এক এপার্টমেন্টের ২০ তলায় থাকেন এডগার মার্টিনেজ। তিনি বলেন, গ্রীষ্মের তাপদাহ খুন নিষ্ঠুর। এবারও সেরকম কিছুই হবে।