সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ: থামিয়ে দিতে পারে লকডাউন ও মাস্ক

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। মানুষের জীবন স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় আছে সরকারগুলো। এতে করে দ্বিতীয় মাত্রায় ভাইরাসটি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন, লকডাউন ও ফেসমাস্কের ব্যবহার করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ থামিয়ে দিতে পারে।

ছবি সংগৃহীত

গবেষকরা বলছেন, লকডাউনের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ শিথিল করে এবং শতকরা ১০০ শতাংশ মানুষের ফেসমাস্ক পরিধান নিশ্চিত করলে ভাইরাসটি ততোটা ছড়াতে পারবে না। এতে করে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার যে আশঙ্কা রয়েছে তা থামানো যেতে পারে।

আল-আরাবিয়া নিউজের বরাতে জানা যায়, এই গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা চারটি মডেলের সহযোগিতা নিয়েছেন। প্রথমে তারা ফেসমাস্ক ছাড়া একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। সেখানে তারা দেখেছেন সংক্রমণের মাত্রা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যায়। তবে এর ওপর লকডাউন সংক্রমণ কিছুটা কমিয়ে আনে। লকডাউন শেষ হওয়ার পর পরই দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাবটি শুরু হয়।

লকডাউনে ফাঁকা নিউইয়র্কের রাস্তা

আরেকটি মডেলে গবেষকরা দেখতে পান, যদি নির্দিষ্ট জনগণের ৫০ শতাংশ মাস্ক পড়েন তাহলে লকডাউনের প্রথমদিকে সংক্রমণের হার কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। তবে এ সময় যারা মাস্ক পরিধান করে ছিলেন তাদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা কম লক্ষ করা গেছে।

গবেষণায় দেখা যায়, যখন ১০০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরিধান করা শুরু করে তখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা অনেক কমে যায়। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যান্য মডেলের চেয়ে এটিকে সবচেয়ে কার্যকর মনে করা হচ্ছে।

এই গবেষণা পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলছেন, ফেসমাস্ক, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন মেনে চলাই থামিয়ে দিতে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।