আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় যাওয়া রোগীদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে ডেক্সামেথাসন নামের কম মূল্যের এবং সহজলভ্য একটি ওষুধ।

dexamethasone is a life saving drug for coronavirus

যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন মারণ ভাইরাসের চিকিৎসায় এই ওষুধটি দারুণ কার্যকর ফলাফল দিচ্ছে।

ভেন্টিলেটরে চলে যাওয়া রোগীদের অন্তত তিন শতাংশ এই ওষুধে সেরে উঠতে পারেন এবং যাদেরকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে তাদের অন্তত পাঁচ শতাংশ এই ওষুধে সেরে উঠতে পারেন।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বিদ্যমান কোনো ওষুধে কাজ হয় কি না, তা দেখার জন্য বিশ্বজুড়ে একটি বড় পরীক্ষা চলছে, এই ওষুধও সেই প্রক্রিয়ার অংশ।

গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকেই যদি যুক্তরাজ্যে ডেক্সামেথাসন ব্যাবহার করা সম্ভব হতো, তাহলে অন্তত পাঁচ হাজার লোক কম মারা যেতেন।

ওষুধটি কম মূল্যের হওয়ার কারণে করোনাভাইরাসের কারণে মারাত্মক বিপদে পড়া কম আয়ের দেশগুলোর জন্য এই ওষুধ আশির্বাদ হয়ে আসতে পারে।

জীবন বাঁচানোর ওষুধ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২০ ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনই হাসপাতালে যাওয়া ছাড়াই সুস্থ হয়ে যান। হাসপাতালে যারা যান, তাদেরও বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে যান তবে কারো কারো অক্সিজেন ও মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর প্রয়োজন পড়ে। এই রোগীদেরই জীবন বাঁচানোতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে ডেক্সামেথাসন।

এমনিতে নানা রকম প্রদাহ প্রতিরোধে ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লড়াই করে, ডেক্সামেথাসন তখন ব্যাপকভাবে সহায়তা করতে পারে।

শরীরের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া, যাকে সাইটোকাইন স্টর্ম বলে, তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ডেক্সামেথাসন সেবন করানো ২০০০ রোগীকে ডেক্সামেথাসন না দেওয়া ৪০০০ রোগীর সাথে তুলনা করা হয়।

এর মাধ্যমে ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি ৪০% থেকে ২৮% নেমে এসেছে। যাদের অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো তাদের ঝুঁকি ২৫% থেকে ২০% নেমে এসেছে।

পরীক্ষার প্রধান পর্যবেক্ষক প্রফেসর পিটার হরবি বলেন, “ডেক্সামেথাসনই একমাত্র ওষুধ যা মৃত্যুহার কমাতে সাহায্য করছে এবং এটি অনেক বড় ব্যাপার। আমরা পুরো বিষয়টি পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো মনে করছি।”

প্রধান গবেষক প্রফেসর মারটিন ল্যানড্রে বলেন এই পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ভেন্টিলেটরে থাকা প্রতি আটজন রোগীর মধ্যে একজন ডেক্সামেথন সেবনে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

আর যাদের অক্সিজেন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়ে গেছে তাদের ২০-২৫ রোগীর মধ্যে একজন ডেক্সামেথনে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “ডেক্সামেথান যে কাজে লাগছে, তা একদম স্পষ্ট বিষয়। ১০ দিন ডেক্সামেথাসন সেবনে খরচ হয় পাঁচ ইউরোর মতো (৫০০ টাকার সামান্য বেশি)। এটি বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য ওষুধ।”

প্রফেসর ল্যান্ড্রে বলেন, যে রোগীকে ডেক্সামেথাসন দেওয়া প্রয়োজন তাকে দ্রুত দেওয়া জরুরি। তবে কারো ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডেক্সামেথাসন কিনে বাসায় খাওয়া ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তেমন কোনো গুরুতর উপসর্গ নেই বা শ্বাস প্রশ্বাসে গুরুতর কোনো সমস্যা হচ্ছে না, তাদের ডেক্সামেথাসন দরকার নেই।

ডেক্সামেথাসনের ট্রায়াল গত মার্চ মাস থেকে চলছিলো। এই ট্রায়ালে ম্যালেরিয়ার ওষুধ বলে বিখ্যাত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও ছিলো। কিন্তু এটি মৃত্যুহার বাড়াচ্ছে ও হৃদযন্ত্রে জটিলতা তৈরি করছে বলে মনে করা হয় এবং চিকিৎসকরা এটি ব্যবহার করতে না করছেন।

রেমডিসিভির নামে আরো একটি ওষুধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মাধ্যমে এটি দেশটিতে সহজলভ্য করা হয়েছে। বিবিসি।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.