দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের মানব ট্রায়াল শুরু

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে বিজ্ঞানীদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। দিনরাত এক করে কাজ করছেন তারা, যাতে দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করে মানবজাতিকে ভয়ংকর করোনার তাণ্ডব থেকে রক্ষা করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ব্রিটিশ গবেষকরা মানবদেহে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন। প্রাণীর দেহে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে সফলতা পাওয়ার পরই মানবদেহে ট্রায়াল শুর করলেন গবেষকরা। মানবদেহে প্রয়োগ করে এর সফলতা পাওয়া গেলে তা চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। 

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগের এ পরীক্ষাটি চলছে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের প্রফেসর রবিন শ্যাটকের নেতৃত্বে। এ পরীক্ষার প্রথম ধাপ চলছে এখন। এরই অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে তিন শত সেচ্ছাবেসীর শরীরে এ ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হবে।

প্রফেসর রবিন শ্যাটক বলেন, আমরা এর আগে এ ভ্যাকসিনটি প্রাণীদের দেহে প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছি। আশা করছি, মাবনবদেহেও এর অবিস্মরণীয় সাফল্য পাবো।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এ ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার প্রথম ধাপ শেষ হলে দ্বিতীয় ধাপে ছয় হাজার মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সফলতা পাওয়া গেলে, আগামী বছরের শুরুর দিকে ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করা হবে।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রায় ১২০টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে নানা দেশের নানা সংস্থা। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করেছেন। অক্সফোর্ডের গবেষকরাও সফলতার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। 

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রাদুর্ভাব হওয়া এ ভাইরাসটির এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন আশার আলো দেখাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ অথবা আগামী বছরের শুরুতেই একাধিক ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে।