যুক্তরাষ্ট্রে তিন চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার

দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তিন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া আরো একজনকে খুঁজছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ভিসা আবেদনে চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে

মার্কিন কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তারের খবর জানায়। আরেকজনকে খুঁজছে এফবিআই। যিনি সান ফ্রানসিস্কোর চীনা কনস্যুলেটর। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৫টি শহরে বসবাস করা আরো বেশ কয়েকজনকে একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।

মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, চীন গোপনে তাদের সেনা বিজ্ঞানীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। আর সেই সন্দেহ থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই অভিযান চালাচ্ছে এফবিআই।

মার্কিন বিচার বিভাগের অ্যাটর্নি জন সি ডিমেরস বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, চীনের পিপুলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সদস্যরা প্রকৃত পরিচয় গোপন করে গবেষণা কাজের নাম করে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার আবেদন করেছে।

চীনে থাকা মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চীন এভাবে আমাদের উন্মুক্ত সমাজ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পরিকল্পনা করেছে।’

সম্প্রতি ওয়াশিংটন জানায়, সান ফ্রানসিস্কো কনস্যুলেটে আশ্রয় নিয়েছেন একজন চীনা বিজ্ঞানী। এর পরই মার্কিন কর্মকর্তারা টেক্সাসের হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কনস্যুলেটটি বন্ধ করার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে চীনও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধের সিদ্ধান্তের জবাবে চীন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।