লাইলাতুল বরাতের গুরুত্ব
- Details
- by ইসলাম
মুসলমানদের কাছে লাইলাতুল বরাত বা শাবান মাসের ১৫ তারিখে রাত একটি মাহিমান্বিত রাত হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের শত বছর আগে ভাগ্য নির্ধারণ করে রাখলেও প্রতি বছর প্রতিটি মানুষের জীবনে যা ঘটবে তা এই রাতেই নির্ধারণ করা হয়; মুসলমানদের বিশ্বাস এমনই। লাইতুল বরাত নিয়ে আলেম- উলামাদের মধ্যে নানা রকম মতভেদ থাকলেও এ রাত যে বরকতময় এ ব্যাপারে সবাই একমত।
হাদিস শরিফে এই রাতকে 'লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান' বা 'মধ্য শাবানের রজনী'ও বলা হয়েছে। সাহাবি (রা.) ও তাবিয়িগণের যুগের অনেক পর থেকে এই রাতকে 'লাইলাতুল বরাত' বলা শুরু হয়। মুহাদ্দিস ও ইসলামি ঐতিহাসিকগণের মতে ৪৪৮ হিজরী সনে বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রথম এ রাতের প্রচলিত পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের প্রচলন শুরু হয়।
হুজুর পাক (স.) রমজানের রোজা ব্যতিত শাবান মাসে যতো অধিক রোজা রাখতেন, অন্য মাসে ততো রোজা রাখতেন না। রমজানের আগের মাস বলেও এ মাসকে রাসুল (স.) এতো গুরুত্ব দিয়েছেন।
কুরআন বা হাদিসে সরাসরি লাইতুল বরাত নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। তবে একটি হাদিসে এই রাতে রাসূল (সা.) সাহাবগণদের (রা.) কবর জিয়ারত করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিলেন। কিন্তু সেটাও দল বেধে নয়। বরং একা একা। লাইলাতুল বরাতের সব ইবাদত নফল। সুতরাং এই রাতের ইবাদত নিয়ে বাড়াবাড়ি করা অনুচিত বলে মন্তব্য করেন উলামাগণ।
আপনি আরো পড়তে পারেন
কাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব?
কুরবানি: ফরজ, ওয়াজিব নাকি সুন্নাত?
আল্লাহর নিকট গোশত নয়, পৌছায় বান্দার তাকওয়া
কুরবানি আল্লাহর প্রতি ইবাদত
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর