লিবিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা যায় জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মাধ্যমে লিবিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি। দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে এমন উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। সংস্থাটির পরবর্তী সম্মেলনে এ সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপিত হবে বলে জানা গেছে।

লিবিয়ায় জিএনএ'র সমর্থিত স্বশস্ত্র বাহিনী

ডেইলি সাবাহ’র বরাতে জানা যায়, ইতোমধ্যে দেশ ৩টি লিবিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছে। কোন কোন দেশের বিমান ও জাহাজ ব্যবহার করে এসব অস্ত্র সেখানে পৌঁছাচ্ছে সেগুলোর নামও আছে সে তালিকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইইউ কর্মকর্তা বলেন, তুরস্ক, জর্ডান ও কাজাকিস্তানের ৩টি প্রতিষ্ঠান ও দুইজন ব্যক্তি লিবিয়ায় চলমান সহিংসতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। সেখানে যে পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে তার সিংহভাগই এদের মাধ্যমে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের লোগো

গত জুনেও জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি আফ্রিকার এই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে বলেছিল, জাতিসংঘের অস্ত্র আইন লঙ্ঘন হয় এরকম যে কোনো কিছুতেই আমরা নিষেধাজ্ঞা দিতে পিছু হটবো না।

সেবার তিন দেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা লিবিয়ার ওপর একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাদের স্থল, আকাশ ও পানিসীমা সবকিছুর ওপরই এই নিষেধাজ্ঞা বহাল হবে।

২০১১ সালে মোহাম্মদ গাদ্দাফির পতনের পরই লিবিয়ায় শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। ক্ষমতা দখলের লড়াইতে ২০১৫ সালে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ক্ষমতা দখলের এ সহিংস লড়াইতে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) সমর্থন দিচ্ছে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। অন্যদিকে গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একোর্ডকে (জিএনএ) সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক।