রোজার ক্লান্তি কাটান সহজেই

সাধারণ সময়ে আমাদের তিন বেলা খাওয়া হলেও রমজানে সারাদিনে দুইবার খাওয়া হয়। ভোররাতে সেহরি ও সন্ধ্যায় ইফতার। রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গিয়ে দুর্বলতা, মাথাঘোরা, ক্লান্তি, মনোযোগ কমে যাওয়া, অল্পতেই ঘেমে যাওয়া, শরীরে কাঁপুনি, মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি কেউ কেউ জ্ঞানও হারাতে পারেন। সারা দিন না খেয়ে থাকা ফলে অনেকের রক্তচাপ কমে গেলেও এমন হতে পারে।

এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম প্রভৃতির ঘাটতিজনিত কারণে মাংসপেশিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসকরা জানান, রমজানে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে অথবা পানিশূন্যতার জন্য মাথাব্যথা হতে পারে। অনেকের ইফতারের পরপরই মাথাব্যথা শুরু হয়। এ সময়ে পেট ব্যথা, ফাঁপা, জ্বালাপোড়া, বদহজম, গ্যাস হওয়া প্রভৃতি সমস্যাগুলোও দেখা দেয় অনেকের। ইফতারে অতিরিক্ত তেলেভাজা কিংবা অতিভোজন করলেও কোষ্ঠকাঠিন্য ও নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।

রমজানে সুস্থ থাকতে সেহেরি, ইফতার ও রাতের খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর। শাকসবজি, মাছ, ফলমূল, দুধ, খেজুর খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যথেষ্ঠ পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

সাধারণ এই সচেতনতাই একজন রোজাদারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

রামাদানে ডায়াবেটিস রোগীর সতর্কতা

যেভাবে রোজায় সুস্থ থাকবেন

ফলমূল কখন খাবেন, কয়টা খাবেন

ডায়াবেটিস রোগীর রোজা পালন

যেসব খাবার ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ