২২ বছরে প্রায় ১০০ দুঃস্বপ্ন
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সম্প্রতি ৬২ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের মাত্র চার মিনিট পর সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। চলতি বছরের শুরুতেই এই বিমান দুর্ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন পৃথিবীর অনেক মানুষ।
গত ২২ বছরে প্রায় ১০০টি বিমান দুর্ঘটনা দেখেছে বিশ্ব। ২০১৭ সালে যাত্রীবাহী কোনো বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। ওই বছর বাদে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত— প্রতি বছরই বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
২০২০
২২ মে পাকিস্তানের করাচির এক লোকালয়ে A320 ফ্লাইটটি পড়ে যায়। এতে ৯১ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু ছিলেন। এই ঘটনায় ৯০ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তবে দুজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। যে অঞ্চলে বিমানটি পড়েছিলো, যাত্রী-ক্রুদের বাইরে সেখানকার একাধিক লোকের মৃত্যু হয়।
৮ জানুয়ারি ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং ভেতরে থাকা ১৭৬ জন যাত্রী ও ক্রুর সবাই মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু বিমানটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়নি। ইরান পড়ে স্বীকার করে যে, শত্রু বিমান ভেবে তারা “অনিচ্ছাকৃতভাবে” বিমানটিতে আঘাত করেছিলো।
২০১৯
১০ মার্চ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আদ্দিস আবাবা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ধসে পড়ে এবং যাত্রী ও ক্রুসহ ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়। এই বিমানে মোট ৩৭টি দেশের নাগরিক ছিলেন।
২০১৮
২০১৮ সালে অন্তত ছয়টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ অক্টোবর জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পর লাইন এয়ারের একটি ফ্লাইট জাভা সাগরে ধসে পড়ে। এতে বিমানে থাকা ১৮৯ জন যাত্রী ও ক্রুর মৃত্যু হয়। এরপর উদ্ধারকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়া একজন ডুবুরিও মারা যান। তদন্ত শেষে জানা যায়, বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি ছিলো এবং এটি আরো আগেই বাতিল ঘোষণা করা উচিত ছিলো।
১৮ মে মার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট হাভানা থেকে ১১২ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই একটি ফ্লাইট ধ্বংস হয়। এতে ১১২ জনের মৃত্যু হয়। একজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান।
১১ এপ্রিল আলজেরিয়ার রাজধানী থেকে একটি মিলিটারি বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ২৫৭ জন লোক ছিলেন। সবার মৃত্যু হয়। যাত্রীদের বেশির ভাগ ছিলেন আর্মি, অথবা তাদের পরিবারের সদস্য।
১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে ৫০ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি ইরানে ৬৬ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে একটি বিমান ধসে পড়ে। এতে সবারই মৃত্যু হয়। বিমানটি তেহরান থেকে ইয়াজুসের দিকে যাচ্ছিলো।
১১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ৭১ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে একটি বিমান ধসে পড়ে। সবারই মৃত্যু হয়।
২০১৭
২০১৭ সালে কোনো যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই বছরকে বিমানের বাণিজ্যিক পরিবহন চালু হওয়ার পর সবচেয়ে নিরাপদ বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০১৬
২০১৬ সালে অন্তত পাঁচটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ ডিসেম্বর ৪৮ জন যাত্রী নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে ধ্বংস হয়ে যায় পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এতে সব যাত্রীর মৃত্যু হয়। বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিলো এবং এটি নিয়ে দেশের সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার লেখালেখিও হয়েছিলো।
২৮ নভেম্বর জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় কলম্বিয়ার মেডলিনে একটি বিমান ধসে পড়ে। এতে ব্রাজিলের চ্যাপকোয়েনস ক্লাবের বেশির ভাগ ফুটবলার ও ম্যানেজমেন্ট ছিলেন। এই ঘটনায় তিনজন খেলোয়াড় প্রাণে বেঁচে যান। বিমানে থাকা ৭১ জন যাত্রীর মধ্যে বেঁচে যান তিন ফুটবলারসহ মোট ছয়জন। বাকিদের মৃত্যু হয়।
১৯ মে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে কাইরো ও প্যারিসের মাঝামাঝি কোনো এক স্থানে একটি বিমান ধসে পড়ে। তৎকালিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট খবরটি নিশ্চিত করেন। প্রত্যেক আরোহীর মৃত্যু হয়।
১৯ মার্চ দুবাইয়ের একটি বিমান রাশিয়ার রোসটোভ-অন-ডনে ধসে পড়ে। এতে ৬২ জন মৃত্যুবরণ করেন।
২০১৫
৩১ অক্টোবর মিশরের শার্ম-ইল-শায়েখ থেকে উড্ডয়নের আধা ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে একটি রাশিয়ান বিমান ধসে পড়ে। এতে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়। পরে আইএস দাবি করে যে, সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রতিশোধ হিসেবে তারা বিমানটি ধ্বংস করেছে।
৩০ জুন ইন্দোনেশিয়ার একটি মিলিটারি বিমান ১২২ জন আরোহী নিয়ে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে। এতে ওই এলাকায় থাকা ১৯ জন লোকেরও মৃত্যু হয়।
২৪ মার্চ বার্সেলোনা থেকে ডাসলডর্ফ যাওয়ার পথে জার্মানির একটি বিমান ধসে পড়ে। এতে ১৪৮ জন আরোহী মৃত্যুবরণ করেন।
২০১৪
২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে এয়ারএশিয়ার একটি ফ্লাইট নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পাইলট খারাপ আবহাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এরপর আর তার সাথে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিমানটিতে ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এই বিমান সম্পর্কে কোনোদিন আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২৪ জুলাই এয়ার আলজেরির একটি ফ্লাইটও নিখোঁজ হয়ে যায়। মালির বুর্কিনা ফাসোর সঙ্গে লাগোয়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে ১১৬ জন আরোহী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ৫১ জন ছিলেন ফ্রেঞ্চ। ধারণা করা হয় তাদের সবার মৃত্যু হয়েছিলো।
২৩ জুলাই অল্প দূরত্বর একটি তাইওয়ানিজ ফ্লাইট ঝড়ের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে মারা যান ৪৮ জন আরোহী। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট একাধিকবার অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
১৭ জুলাই মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইউক্রেনে ভূপাতিত হয়। ১৯৩ জন ডাচ নাগরিকসহ মোট ২৯৮ জনের মৃত্যু হয় এতে। এই ঘটনায় রাশিয়ান বিদ্রোহীদের দায়ী করা হয়। কিন্তু তারা এই বিমানে কোনো রকম আঘাতের কথা অস্বীকার করে।
৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট MH370 ২২৭ জন আরোহী নিয়ে একেবারে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই বিমানটির খোঁজে কোটি কোটি ডলার খরচ করে মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ফ্লাইটটি নিখোঁজ হয়। ধারণা করা হয় ভারত সাগরে এটি হারিয়ে গেছে। বিমান চলাচলের ইতিহাসে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কোনো বিমান খুঁজতে এতো শক্তি ক্ষয় করা হয়নি, যতোটা এই বিমানের ক্ষেত্রে হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত এই বিমানের কোনো চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আরো পরে রাশিয়া দাবি করে যে, তারা এই ফ্লাইটের সামান্য ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে। যদিও তা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো স্বীকৃতি পায়নি। এই ফ্লাইটের উদ্ধার কাজে ৩৪টি বিমান ও ৪০টি জাহাজ মোতায়েন করা হয়। মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করে এবং মালয়েশিয়ার সাথে বিমানটি খুঁজতে অংশগ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ফলই আসেনি। এই ফ্লাইটের নিখোঁজ হওয়া এক বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে রয়ে গেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ৭৮ জন আরোহী নিয়ে একটি মিলিটারি বিমান আলেজরিয়াতে বিধ্বস্ত হয়। তদন্ত শেষে বলা হয় এই বিমানের কোনো যাত্রী বেঁচে নেই।
২০১৩
১৭ নভেম্বর রাশিয়ার কাজানে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণের সময় ধসে যায় একটি ফ্লাইট। এতে ৫০ জনেরই মৃত্যু হয়।
১৬ অক্টোবর ১০টি দেশের ৪৯ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করার সময় নদীতে পড়ে যায় রাশিয়ার একটি বিমান। সব যাত্রীর মৃত্যু হয়।
২০১২
৩ জুন ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে নাইজেরিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এক অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয় একটি ফ্লাইট। এতে সব যাত্রীর মৃত্যু হয়।
২০ এপ্রিল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবতরণের ঠিক আগে ভোজা এয়ারের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয় এবং যাত্রী ও ক্রুসহ ১২১ জনের মৃত্যু হয়।
২০১১
২৬ জুলাই মরক্কোর একটি মিলিটারি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ৭৮ জন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ বিরূপ আবহাওয়াকে দায়ী করে।
৮ জুলাই গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে হেভা বোরা এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয় ১১৮ জন যাত্রী নিয়ে। এর মধ্যে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়।
৯ জানুয়ারি ইরানের অরুমিয়েহ শহরে ১০০ জন নিয়ে বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান। এতে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়। ফ্লাইটটি অবতরণ করার চেষ্টার আগে পাইলট জানিয়েছিলেন যে তাতে কোনো যান্ত্রিক সমস্যা আছে।
২০১০
৫ নভেম্বর মধ্য কিউবার পাহাড়ে একটি অ্যারোকারিবীয় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ৬৪৮ জন নিহত হন।
২৮ জুলাই করাচি থেকে এয়ারব্লুয়ের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে পাকিস্তানের একটি বিমান ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাহাড়ের কাছে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১৫২জন যাত্রী নিহত হন।
২২ মে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস দক্ষিণ ভারতের মঙ্গলোরের একটি পাহাড়ের চূড়ায় ওভারশট করে একটি উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়। এতে ১৫৮ জন নিহত হয়।
১২ মে লিবিয়ার ত্রিপোলি বিমানবন্দরের কাছে অবতরণের সময় একটি আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজ এয়ারবাস ৩৩০ বিধ্বস্ত হয়, এতে শতাধিক লোক নিহত হয়।
১০ এপ্রিল পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লেচ কাৎসেনিস্কিকে বহনকারী একটি টুপোলেভ ১৫৪ বিমান রাশিয়ার স্মোলেনস্কের বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান।
২৫ জানুয়ারি বৈরুত থেকে যাত্রা শুরু করার পরপরই ইথিওপিয়ার এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী জেটটি ৮৯ জনকে নিয়ে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়।
২০০৯
১৫ জুলাই ইরানের উত্তরে আর্মেনিয়ায় যাওয়ার পথে ক্যাস্পিয়ান এয়ারলাইন্সের টুপোলেভ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যাত্রী এবং ক্রুসহ মারা যান ১৬৮ জন।
৩০ জুন ইয়েমেনি যাত্রীবাহী একটি এয়ারবাস ভারত মহাসাগরে কমোরোস দ্বীপপুঞ্জের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ১৫৩ জনের মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে যান।
১ জুন রিও ডি জেনেরিও থেকে প্যারিসগামী একটি এয়ার ফ্রান্স এয়ারবাস ৩৩০ ২২৮ জন যাত্রী নিয়ে নিয়ে আটলান্টিকে বিধ্বস্ত হয়। অনুসন্ধান দলগুলি পরে সমুদ্রের থেকে ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
২০ মে ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সি -১৩০ হারকিউলিস পরিবহন বিমান পূর্ব জাভার একটি গ্রামে বিধ্বস্ত হয়। এতে কমপক্ষে ৯৭ জন নিহত হন।
১২ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কের বাফেলোয় একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৪৯ জন এবং যেখানে পড়েছে, সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
২০০৮
১৪ সেপ্টেম্বর একটি বিমান মধ্য রাশিয়ার পার্মের নিকটে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ৮৮ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন।
২৪ আগস্ট কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশেকেক থেকে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬৪৮ জন নিহত হন।
২০ আগস্ট স্প্যানায়ার বিমান মাদ্রিদের বড়জাস বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে ১৫৪ জন নিহত হন এবং ১৮ জন আহত হন।
২০০৭
৩০ নভেম্বর ইস্পারতা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ী ইস্পারতা প্রদেশের ক্যাসিবোরলু শহরের কাছে দুর্ঘটনায় আটলাসেটের একটি ফ্লাইটে ৫৬ জন নিহত হন।
১৬ সেপ্টেম্বর ফুকেটের থাই রিসর্টে খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণের সময় ওয়ান-টু-গো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরে কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন।
১ জুলাই ব্রাজিলের সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ বিমান দুর্ঘটনায় সাও পাওলোর কঙ্গনহাস বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ট্যাম এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ১৮৬ জন এবং বাইরে ১৩ জন নিহত হন।
৫ মে কেনিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমান দক্ষিণ ক্যামেরুনের সোয়াম্পল্যান্ডে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১১৪ জনের সবাই নিহত হন। সরকারি তদন্তে এই বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে কখনো কিছু জানানো হয়নি।
১ জানুয়ারি একটি অ্যাডাম এয়ার ফ্লাইট ১০২ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে সুলাওসি দ্বীপের পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। বোর্ডে থাকা সবাই মারা যায় বলে ধারণা করা হয়।
২০০৬
২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের অ্যামাজন রেইন ফরেস্টের একটি বোয়িং ৭৩ জন আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে সব যাত্রী নিহত হন।
২২ আগস্ট একটি রুশ যাত্রীবাহী বিমান ১৭০ জন যাত্রী নিয়ে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেটস্কের উত্তরে দুর্ঘটনায় পড়ে। সব যাত্রীর মৃত্যু হয়।
৯ জুলাই সাইবেরিয়ার ইরকুটস্ক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে একটি রাশিয়ার একটি বিমান ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় ১২৪ জন মারা যান। তবে প্রাণে বেঁচে যান ৫০ জন
৩ মে একটি আরমাভিয়া এয়ারবাস সোচির নিকটে কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১১৩ জন যাত্রী নিহত হন।
২০০৫
১০ ডিসেম্বর দক্ষিণ নাইজেরিয়ার শহর পোর্ট হারকোর্টে একটি সসোলিসো এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১০৩ জন নিহত হন।
ডিসেম্বরে ইরানের রাজধানী তেহরানের উপকণ্ঠে একটি সি -১০০ সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্ত হয়, এতে মাটিতে কয়েকজনসহ ১১০ জন নিহত হন।
২২ অক্টোবর নাইজেরিয়ার শহর লাগোস থেকে যাত্রা শুরু করার পরপরই একটি বেলভিউ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জন ১১৭ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় এবং সবার মৃত্যু হয়।
৫ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার শহর মেদানে উড্ডয়নের পরে ১১২ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রুসহ বিধ্বস্ত হয়। সব আরোহীর মৃত্যু হয় এবং বিমানটি যেখানে পড়ে, সেখানেও কয়েক ডজন লোকের মৃত্যু হয়।
১ আগস্ট পশ্চিম ক্যারিবিয়ান এয়ারওয়েজ পরিচালিত একটি কলম্বিয়ার বিমান ভেনেজুয়েলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৬০ জন আরোহী মারা যান। পানামা থেকে মার্টিনিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বিমানটিতে বেশির ভাগই ছিলেন ক্যারিবিয়ান যাত্রী।
১৪ আগস্ট সাইপ্রাস থেকে এথেন্স যাওয়ার পথে হেলিস এয়ারওয়েজের একটি বিমান ১২১ জনকে নিয়ে গ্রীক রাজধানী অ্যাথেন্সের উত্তরে বিধ্বস্ত হয়। প্রত্যেক যাত্রীর মৃত্যু হয়।
১৬ জুলাই গিনি দ্বীপের রাজধানী মালাবো থেকে মূল ভূখণ্ডের পশ্চিমে যাত্রা শুরু করার পরপরই একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ৬০ জন যাত্রী নিহত হন।
৩ ফেব্রুয়ারি কাম এয়ারের একটি ফ্লাইট আফগান রাজধানী কাবুলের নিকটে উঁচু পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয়। এর আগে বিমানটি ভারী তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে এবং দুদিন পর্যন্ত এটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ১০৪ জনের প্রাণহাণী ঘটে।
২০০৪
২১ নভেম্বর উত্তর চীনের মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের বাওটো শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫৩ জন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই এবং মাটিতে দুজন নিহত হন।
৩ জানুয়ারি ফ্ল্যাশ এয়ারলাইন্সের একটি মিশরীয় চার্টার ফ্লাইট লোহিত সাগরে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে থাকা ১৪১ জন যাত্রী মারা যান। যাত্রীদের বেশিরভাগই ফরাসি পর্যটক ছিলেন বলে মনে করা হয়।
২০০৩
২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার রাজ্য বেনিন থেকে যাত্রা শুরু করার পরপরই একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি লেবাননে যাচ্ছিলো। এতে কমপক্ষে ১৩৫ জন নিহত হন।
৮ জুলাই সুদানে একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ১১৫ যাত্রী মারা যান। কিন্তু বিস্ময়করভাবে একটি শিশু বেঁচে যায়।
২ মে ইউক্রেনের একটি ফ্লাইট তুরস্কের ট্র্যাবসনের কৃষ্ণসাগর রিসর্টের কাছে বিধ্বস্ত হয়। ৭৪ যাত্রী মারা যান। যাত্রীদের সবাই ছিলেন স্প্যানিশ শান্তিরক্ষী। তারা আফগানিস্তান থেকে ফিরছিলেন।
৮ মে কঙ্গোতে একটি পুরোনো সোভিয়েত বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়।
৬ মার্চ একটি আলজেরীয় বিমান তামানরসেট বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার কিছুক্ষণ পরই দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং এতে ১০২ জন মারা যান।
১৯ ফেব্রুয়ারি ইরানের একটি সামরিক বিমান ২৭৬ জনকে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে সব যাত্রীর মৃত্যু হয়।
৮ ই জানুয়ারি তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ৭৬ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। সবাই মারা যান।
২০০২
২৩ ডিসেম্বর মধ্য ইরানে মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের বহনকারী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং এতে যাত্রী ৪৬ জন মারা যান।
২ জুলাই পশ্চিমের ইউক্রেনীয় শহর লভিভ-এ এক যুদ্ধ বিমান দর্শকদের ভিড়ের মধ্যে পড়ে যায়। এতে ৭৭ জন মারা যান। এটিকে মনে করা হয় বিমান শোয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনা।
১ জুলাই জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ান একটি বিমান স্পেনে যাওয়ার পথে অন্য একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের বেশির ভাগই ছিলো শিশু।
২৫ মে তাইওয়ানে চায়না এয়ারলাইন্সের একটি বিমান পেংঘুর দ্বীপের কাছে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ২২৫ যাত্রী ও ক্রুর মৃত্যু হয়।
৭ মে চীন নর্দার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ১১২ জনকে নিয়ে উত্তর-পূর্ব চীনের ডালিয়ানের কাছে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। সবাই মারা যান।
৭ মে, একই দিনে, একটি মিশরীয় বিমান দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়ার কাছে ভূপাতিত হয়। এতে ৫৫ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলো। বেশিরভাগ মানুষ বেঁচে যান।
৪ মে নাইজেরিয়ার শহর ক্যানোতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যাতে ১৪৮ জন নিহত হন। এদের অর্ধেকেই ছিলেন মাটিতে।
১৫ এপ্রিল এয়ার চায়নার একটি বিমান বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার পুসান পৌঁছানোর সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে থাকা ১৬০ আরোহী মারা যান।
১২ ফেব্রুয়ারি ইরান এয়ারের একটি ফ্লাইট পশ্চিমের পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১১৭ যাত্রী নিহত হন।
২৯ জানুয়ারি ইকুয়াডোরিয়ান টেম বিমানের একটি বিমান কলম্বিয়ার পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে ৯২ জন নিহত হন।
২০০১
১২ নভেম্বর ডমিনিকান রিপাবলিকে একটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের আবাসিক অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়, এতে বিমানে থাকা ২৬০ জন এবং মাটিতে অন্তত ৫ জন মারা যান।
৮ অক্টোবর মিলানের লিনেট বিমানবন্দরে রানওয়েতে ঘন কুয়াশায় একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইনস বিমান অন্য একটি বিমানের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ১১৮ জন মারা যান।
৪ অক্টোবর সাইবেরিয়ার তেল আবিব থেকে নোভোসিবিরস্ক যাওয়ার পথে একটি রাশিয়ান বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭৮ জন যাত্রী ও ক্রু মারা যান।
৩ জুলাই ইউরাল পর্বতমালার ইয়েকাটারিনবুর্গ থেকে ভ্লাদিভোস্টক রুশ বন্দরের দিকে যাওয়ার পথে একটি রাশিয়ান বিমান বিধ্বস্ত হয়। এত ১৩৩ জন যাত্রী ও ক্রু মারা যান।
২০০০
৩০ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
২৩ আগস্ট বাহরাইনে নামার সময় উপসাগরীয় একটি বিমান সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ১৪৩ জন মারা যান।
২৫ জুলাই নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ফ্রান্সস কনকর্ডে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই প্যারিসের বাইরের একটি হোটেলে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় মাটিতে চারজনসহ ১১৩ জন নিহত হন।
১ জুলাই অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট ভারতের পাটনায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় আবাসিক এলাকায় পড়ে যায়। এতে বিমানের ৫১ জন ও বাইরের চারজন মারা যান।
১৯ এপ্রিল এয়ার ফিলিপিন্সের একটি বিমান থেকে ম্যানিলা থেকে দাবাও অবতরণ করার সময় বিধ্বস্ত হয় এবং বিমানে থাকা ১৩১ জন মারা যান।
৩১ জানুয়ারি মেক্সিকো থেকে সান ফ্রান্সিসকোগামী আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সমুদ্রে ডুবে যায়। ৮৮ আরোহী প্রাণ হারান।
৩০ জানুয়ারি কেনিয়া এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়। ১৭৯ জন মারা যান এবং ১০ বেঁচে যান।
১৯৯৯
৩১ অক্টোবর মিশরের কায়রো যাওয়ার সময় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার পরে মিশরএয়ারের একটি বিমান আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে ২১৭ যাত্রী নিহত হন।
১৯৯৮
১১ ডিসেম্বর থাই এয়ারওয়েজের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সুরত থানিতে তৃতীয়বার অবতরণের চেষ্টার সময় একটি স্থানীয় ফ্লাইটের উপরে পড়ে যায়। এতে ১০১ মারা যান।
২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে জেনেভা যাওয়ার পথে কানাডার আটলান্টিক মহাসাগরে একটি বিমান পড়ে যায়। এতে ২২৯ জনের মৃত্যু হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি তাইওয়ানের চায়না এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট পরে কুয়াশা এবং বৃষ্টিতে অবতরণের চেষ্টা করার সময় তাইপেইয়ের চিয়াং কাই-শেক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। সমস্ত ১৯৬ জন এ ঘটনায় মারা যান।
২ ফেব্রুয়ারি সেবু প্যাসিফিক এয়ার ডিসি-৯ দক্ষিণ ফিলিপাইন পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১০৪ যাত্রীর প্রত্যেকেই মারা যান।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.