তবুও পদোন্নতি পেলেন না সারোয়ার আলম

সম্প্রতি উপ-সচিব পদে বড় ধরনের পদোন্নতি হলেও তেমনটি ঘটেনি সফল অভিযানের ‘নায়ক’ সারোয়ার আলমের বেলায়। র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ৩ শতাধিক অভিযান চালিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

সারোয়ার আলম, ফাইল ছবি

গত রোববার জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুই প্রজ্ঞাপনে ৩৫৮ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পেয়ে উপ-সচিব হন। তাদের মধ্যে ৩৩৭ জনের নাম প্রজ্ঞাপনে থাকলেও বাকিরা আছেন শিক্ষা ছুটিতে।

জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে বিসিএসের ২৭তম ব্যাচ বিবেচনায় নেয়া হয়, যাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ২৪০ জন। সবমিলিয়ে পদোন্নতি পাওয়াদের ২৭৮ জনই প্রশাসন ক্যাডারের। আর অন্যান্য ক্যাডারের ৮০ কর্মকর্তা রয়েছেন এ তালিকায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আলোচিত সারোয়ার আলমও বিসিএসের ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের। ২০০৮ সালের নভেম্বরে চাকরিতে যোগ দেন তিনি।

ক্যাসিনো-বিরোধী অভিযানে সারোয়ার আলম

কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা দেখিয়ে ২০১৪ সালের ১ জুন পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হন সরোয়ার আলম। এ পদে প্রায় ৭ বছরসহ মোট ১২ বছরের বেশি সময় প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত তিনি।

পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ ছাড়াও বিভাগীয় কোনো অভিযোগ নেই সরোয়ার আলমের বিরুদ্ধে। অধিকন্তু আলোচিত অনেকগুলো সাহসী অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। তার পরও পদোন্নতি না হওয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন সামাজিকমাধ্যমে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববারের পদোন্নতিতে সরোয়ার আলমসহ বিসিএস ২৭তম ব্যাচের ৩০ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ফাইল ছবি

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারির পর আমার নাম নেই দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। সবসময় জনগণের জন্য কাজ করায় বিষয়টি কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না। তবে এটা বাস্তবতা।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, যোগ্য সকলেই পদোন্নতি পেয়েছেন। বাকিদের নিয়ে কিছু বলার অধিকার নেই আমার। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড পদোন্নতি দিয়ে থাকে।

সরকারের পদোন্নতি বিধিমালা (২০০২) অনুযায়ী, উপ-সচিব পদের ক্ষেত্রে ৫ বছর সিনিয়র সহকারী সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে কমপক্ষে ১০ বছর থাকতে হয়। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের (মূল্যায়ন) মধ্যে পেতে হয় ৮৩।