নির্বাচনে হেরে স্ত্রীকে তালাক, মামলা

গত ২৮ ফেব্রুয়ারির পৌরসভা নির্বাচনে হেরে গেছেন যশোরের কেশবপুর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল হাসান আইদ। পরদিন ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগে স্ত্রী জামিলা পারভীনকে তালাক দেন তিনি। একই অভিযোগে সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার যশোর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন আইদ। এর আগে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তার।

সোহেল হাসান আইদ

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে জামিলার সঙ্গে আইদের বিয়ে হয়। চার বছর পর মালয়েশিয়া চলে যান তিনি। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে রিপন নামে এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আইদ দেশে ফিরে জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি অস্বীকার করেন জামিলা। পরে তাদের সংসারে অংশু নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এক সময় সেই রিপনের সঙ্গে চলে যান জামিলা। ওই ঘটনায় ২০১০ সালে থানায় জিডি করেন আইদ, তাকে তালাক দেন জামিলা।

২০১১ সালে রিপনকে ছেড়ে আইদের ঘরে আসতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধর্না দেন জামিলা। পরে ফের বিয়ে করে তাকে ঘরে তুললে অহনা নামে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে।

কেশবপুরের মানচিত্র

মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হলে আইদকে হত্যা করতে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন জামিলা। নির্বাচনী প্রচারের সময় তার ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

স্ত্রীকে তালাক দেয়া এবং হত্যার ষড়যন্ত্রে মামলা করার কথা স্বীকার করেছেন আইদ। বিষয়টি শোনার কথা বললেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামিলা। তিনি বলছেন, ছেলে অংশু ছাত্রলীগ করায় নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য তাকে দায়ী করেন আইদ।