সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তোলার জন্য একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আজ বুধবার এমন আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নীতি-নির্ধারকদের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করি।

সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ায়। এখানে যেমন সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের রয়েছে যেমন রয়েছে অসম্ভব প্রাণশক্তি, তেমনি রয়েছে উদ্ভাবন ক্ষমতা। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে জয় করে টিকে থাকার দক্ষতাও রয়েছে। আমরা সহজেই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাতে পারি, যদি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্পদকে কাজে লাগানো যায়। এই লক্ষ্যে আমরা যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে দক্ষিণ এশিয়া।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই লড়াই করেননি। বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন তিনি। শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের পাশাপাশি আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে যে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, সেটা তিনি বিশ্বাস করতেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং

এ সময় ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র ভুটান। শুধু ভৌগোলিক নৈকট্যই নয়, বরং দুই দেশের প্রায় একই ধরনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।

ভুটানই স্বাধীন বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান প্রায় এক ও অভিন্ন। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বহু প্রাচীন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে, আজ বুধবার তার ৮ম দিন। আজকের থিম- ‘শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’।

এদিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।