লর্ডসে পাকিস্তানের অসাধারণ জয়

ইয়াসির শাহ এশিয়ার বাইরে টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন প্রথমবার। লেগ স্পিনে এশিয়ার মাটিতে তার দাপট আগেই দেখেছিলো বিশ্ব। তাই বলে এশিয়ার বাইরেও তিনি চমকে দিতে পারেন, এমন ভরসা করা যাচ্ছিলো না। কিন্তু ইয়াসির শাহ ঠিকই চমকে দিলেন। টেস্ট ম্যাচে প্রথমবার ১০ উইকেট নিয়ে দলকে ৭৫ রানে জেতালেন তিনি।

ম্যাচের শেষ ইনিংসে ইংলিশদের সামনে লক্ষ্য ছিলো ২৮৩ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে ৭৫ রান পিছনে থাকতেই ম্যাচের চতুর্থ দিনে গুটিয়ে যায় তারা। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট পাওয়া ইয়াসির দ্বিতীয় ইনিংসে নেন চার উইকেট। সব মিলিয়ে ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন ১৪১ রান।

লর্ডসের শেষ ইনিংসে ২৮৩ রান বা এর চেয়ে বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মাত্র একটি। সুতরাং শেষ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার আগেই ম্যাচ জেতা বা ড্র করে সম্মান বাঁচানোর বিশ্বাস ইংলিশদের খুব একটা ছিলো না।

স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তোলার আগেই চার উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। নানা ঘটনা- দুর্ঘটনায় জর্জর পাকিস্তান ক্রিকেট তখনই মূলত জয়ের সুবাস পেতে থাকে। এরপর যতো সময় গেছে, ম্যাচের লাগাম ততোই উঠেছে মিসবাহ উল হকের হাতে।

পাকিস্তানের দারুণ এই জয়ের চিত্রনাট্যের প্রথম অংশটা কিন্তু মিসবাহরই লেখা। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৩৩৯ রান তুলে মূলত তারই ১১৪ রানে ভর করে। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে করা সেঞ্চুরিটাই মিসবাহর দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়।

এরপর ড্রাইভিং হুইল ঠিকঠাক দখল করে রাখাটা নিশ্চিত করেন ইয়াসির শাহ। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন অন্য বোলাররা। লর্ডসে হেরে সিরিজের প্রথমেই পিছিয়ে পড়ে স্বভাবতই হতাশা ইংলিশরা। তবে হতাশাটা একটু বেশিই গ্রাস করার কথা ক্রিস ওয়োকসকে। বেচারা দুই ইনিংসে ১১ উইকেট নিয়েও লর্ডসে তেমন আলো পেলেন না।

ম্যানচেস্টারে ২২ জুলাই থেকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুরই হয়ে থাকছে মিসবাহর দল। ম্যানচেস্টারও যদি দলবল বেধে মিসবাহ পতাকার দিতে স্যালুট দেন এবং বুক ডন দেয়ার সুযোগ পেয়ে যান, অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

আপনি আরো পড়তে পারেন

আবারও সিপিএলে ঝলমলে সাকিব

চার বোর্ডের আপত্তি, নাও হতে পারে ‘ছোট আইপিএল’

ইসলামের জন্য ক্রিকেট ছাড়তে পারেন মঈন আলি

দেহরক্ষী পাচ্ছেন জাতীয় দলের বিদেশিরা

ইংল্যান্ড কি বাংলাদেশ সফরে আসবে?