সর্বোচ্চ ১০২ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে শনাক্ত

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ হাজার ৩৮৫। একই সময়ে আরো ৩ হাজার ৬৯৮ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু, নমুনা সংগ্রহের ফাইল ছবি

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৭টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৯২৮টি। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪০৪টি। এর মধ্যে আরো ৩ হাজার ৬৯৮ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৪৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি।

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গতকাল ও তার আগের দিন ১০১ জন করে মারা যায়। অর্থাৎ বিগত তিন দিন ধরে শতাধিক লোকের মৃত্যু হলো। এ নিয়ে দেশে মোট ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হলো। 

২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ, ৪৩ জন নারী। এদের মধ্যে ৯৭ জন হাসপাতালে এবং ৫ জন বাড়িতে মারা গেছেন।  

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১২১ জন। এ পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন। 

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

মারা যাওয়া ১০২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৮ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২২, রাজশাহীতে ৩, খুলনায় ১, বরিশালে ৪ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন।