লিভারের সমস্যায় ভুগেন অনেকে। অসচেতনায় হতে পারে লিভারজনিত নানা রকম রোগ। কিন্তু আপনি যদি একটু সচেতন হোন, তাহলেই পারেন লিভারের রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে।

liver problems

ননঅ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিস বা এনএএফএলডি হল লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা; এটি লিভারের একটি সাধারণ এবং বিশ্বব্যাপী ক্রনিক লিভার ডিজিস হিসাবে পরিচিত। এটিই লিভারের প্রায় দশ শতাংশ অংশ দখল করে নেয়। চলুন জেনে নেই এই রোগের কিছু লক্ষণ ও প্রতিকার।

লক্ষণ

  • স্থূলতা বর্তমানে গোটা পৃথিবীজুড়ে একটি বড় স্বাস্থ্যগত সমস্যা। অনেকে দেখতে পাতলা হলেও কিন্তু পেটে চর্বি জমে যায়। এ সময় শরীরের ম্যাস ইনডেক্স বেড়ে গেলে এবং বিএমআই চল্লিশ হয়ে গেলে বুঝতে হবে এটি ননঅ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিসের লক্ষণ।
  • রক্তে উচ্চমাত্রার ফ্যাট থাকাই মানেই ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এই কোলেস্টরল বেড়ে গেলেই লিভারে চর্বি জমে। জার্মান বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এনএএফএলডি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় তিনগুন। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের রোগীর লিভারের সমস্যা হলে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • যদি কারো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তবে অবশ্যই এনএএফএলডি পরীক্ষা করানো জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের ফ্যাটি লিভার ডিজিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী টেরই পান না তিনি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন।
  • এ রোগের কোন শারীরিক লক্ষণ থাকে না। রক্ত পরীক্ষা বা লিভার বায়োপসির মাধ্যমেই কেবল এর নির্ণয় সম্ভব। সিরোসিস দেখা দিলে অবসাদ ও দুর্বলতা দেয়। পেটের ডান পাশের ওপরের দিকে ব্যথা হওয়াও লিভারের ফ্যাটি ডিজিসের লক্ষণ।
  • লিভার যখন সুষ্ঠুভাবে বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না তখন বিষাক্ত পদার্থ রক্তে ছড়িয়ে মস্তিষ্কে চলে যায়। ফলে রোগী বিভ্রান্তি বা ধাঁধার মধ্যে পড়ে যান। পরিবারে কারোর যদি এনএফএলডি থাকলে অন্যেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় তেরগুণ বেড়ে যায়।

প্রতিকার

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের চিকিৎসা দুভাবে করা যায়। একটি ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা এবং দ্বিতীয়টি মেটাবলিক সিনড্রোমের চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সঠিক নিয়মে ওষুধ ও খাবার গ্রহণে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের নিরাময় ও প্রতিরোধ সম্ভব।

সাধারণত প্রাথমিক কারণ দূর করার মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে। এছাড়া সঠিক নিয়মে ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চর্বি জাতীয় খাবার এবং অ্যালকোহল বর্জন করা। আর মেটাবলিক সিনড্রোমের চিকিৎসায় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বির চিকিৎসার মত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ক্রমান্বয়ে ক্রনিক লিভার ডিজিজের অন্যতম মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই রোগটি সম্পর্কে নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকেও সচেতন করুন। এ ছাড়া যে কোনো প্রকার চিকিৎসায় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.