শ্রীলঙ্কার ‘মান’ বাংলাদেশের সামনে ‘অগ্নিপরীক্ষা’

মোস্তাফিজুর রহমানের সুইং কিংবা মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণি- কোনোকিছুই কাজে এলো না। তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করল শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার ও অধিনায়ক কুশল পেরেরা। অপরাজিত অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। হাফসেঞ্চুরির আভাস নিয়ে ফিরেছেন দানুসকা গুনাথিলাকা।

এই ত্রয়ীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল লঙ্কানরা। আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ২৮৬ রান করেছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করতে হলে এখন টাইগার ব্যাটসম্যানদের দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা। অন্যথায় মান বাঁচবে শ্রীলঙ্কার।

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের কারণে ধুঁকতে হয়েছে লঙ্কানদের। বিশেষ করে টপ অর্ডার। আজ অবশ্য জ্বলে উঠেছেন দুই ওপেনারই। বিনা উইকেটে ৮২ রান তুলে ফেলেন গুনাথিলাকা ও পেরেরা। অবশেষে ব্রেক থ্রু এসেছে তাসকিন আহমেদের হাত ধরে। ৩৩ বলে ৩৯ রান করা গুনাথিলাকার স্ট্যাম্প উড়িয়ে ফেলেন ডানহাতি পেসার।

চলমান ওয়ানডে সিরিজে এটাই প্রথম উইকেট তাসকিনের। ১২তম ওভারের শেষ বলে পাথুম নিসাঙ্কাকে ‍মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী করেন তিনি। জোড়া ধাক্কা ভালোভাবেই সামলে ওঠে শ্রীলঙ্কা। এক প্রান্ত আগলে রেখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন পেরেরা। যা পরবর্তীতে তিনি রূপ দিয়েছেন শতকে। তাকে সঙ্গ দিতে এসে ৩৬ বলে ২২ রানে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। তার ঘাতকও তাসকিন।

১৫১ রানে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। পরে ডি সিলভাকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন পেরেরা। জুটি ভাঙে ওপেনারের বিদায়ে। ফেরার আগে ১২২ বলে ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লঙ্কান অধিনায়ক। ১১টি চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান পেরেরা। তার বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নেন ডি সিলভা।

৭০ বলে চারটি চারে ৫৫ রানে অজেয় থাকেন তিনি। ২১ বলে ১৮ রান করা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তাসকিনের চতুর্থ শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। লঙ্কানদের পতন হওয়া বাকি দুই উইকেটের একটি নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। অতিথিদের অন্য আরেকটা উইকেটেও হাত ছিল তার। নিরোশান ডিকভেলাকে করেন রানআউট।

আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা মুস্তাফিজ ও মিরাজ আজ কোনো উইকেট পাননি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাকিব আল হাসানও বৃথা হাত ঘুরিয়েছেন। শরিফুল এক উইকেট পেলেও সবচেয়ে বেশি রান তিনিই দিয়েছেন। তাসকিন চার উইকেট নিয়েছেন বটে, তবে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন পাঁচের বেশি। সবমিলিয়ে শেষ ম্যাচে বোলিংটা ঠিক সুবিধার হয়নি বাংলাদেশের। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রাখতে পারেননি। তাই এবার আসল পরীক্ষাটা দিতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের।