অভিষেকে রঙিন কনওয়ে, জিমির রেকর্ড

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দুই সংস্করণেই দুর্দান্ত শুরু হয়েছে ডেভন কনওয়ের। এবার ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের ম্যাচেও রানস্রোত বইয়ে দিলেন এই নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান। লর্ডস টেস্টে অভিষেক ম্যাচে দারুণ এক শতক তুলে নিয়েছেন কনওয়ে। তার অজেয় শতকের ওপর দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ সূচনা করেছে কিউইরা।

ডেভন কনওয়ে

বুধবার (২ জুন) প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে তিন উইকেটে ২৪৬ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টম লাথাম, রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসনদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিয়েছেন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে ১৩৬ রানে অজেয় থাকলেন তিনি। ২৪০ বলের ইনিংসে ১৬ চার মেরেছেন কনওয়ে। তাতেই হলো ইতিহাস।

ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসের ১৩৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটাই অভিষিক্ত কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কনওয়ে পেছনে ফেলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ১৩১ রান করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে লর্ডসে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন কনওয়ে।

কেন উইলিয়ামসন

শুধু ক্রিকেটের মক্কায় নন, দেশের বাইরে অভিষেক টেস্টে কিউইদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটাও এখন কনওয়ের দখলে। ২০১০ সালে ভারতের আহমেদাবাদে অভিষেক টেস্টে ১৩১ রান করেছিলেন উইলিয়ামসন। সেই তিনিই কাল সাজঘরে ফিরে গেলেন ১৩ রানে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টেলরও; আউট হন ১৪ রানে।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য খারাপ হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান করে কিউইরা। জুটি ভাঙে লাথাম ২৩ রানে বিদায় নিলে। উইকেটে থিতু হয়ে বিদায় নিয়েছেন উইলিয়ামসন ও টেলর। পরে হেনরি নিকোলস যোগ্য সঙ্গ দেন ওপেনার কনওয়েকে। চতুর্থ উইকেটে ১৩২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দিনের খেলা শেষ করেন দুজন।

জিমি অ্যান্ডারসন

নিকোলস ৪৬ রানে অজেয় থেকে উইকেট ছেড়েছেন। নিউজিল্যান্ডের পতন হওয়া তিন উইকেটের দুটি নিয়েছেন অভিষিক্ত অলি রবিনসন। অন্যটা নিয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন। প্রথম দিনে আরো একজন ইংলিশ ক্রিকেটার আলোচনায় থাকলেন। এই টেস্টে রবিনসনের মতো অভিষেক হয়েছে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জেমস ব্রেসির।

জোড়া অভিষেকের ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলা অ্যালিস্টার কুকের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন অ্যান্ডারসন। লর্ডস টেস্ট ইংলিশ পেসারের ১৬১তম ম্যাচ। যথারীতি এই টেস্টেও বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্বটা বর্তেছে তার ওপর। পেস আক্রমণে আছেন আরো তিনজন। সবমিলিয়ে ২০১২ সালের পর এই প্রথম বিশেষজ্ঞ কোনো স্পিনার ছাড়া টেস্ট খেলতে নেমেছে ইংল্যান্ড।

এই টেস্টের আরেক প্রাপ্তি, ২০১৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের পর মাঠে ফিরেছেন দর্শকেরা। আর লর্ডসে টেস্ট ফিরেছে ৬৫৪ দিন পর।