ভয়ংকর বিষে ২৪ ঘণ্টায় পাকছে কচি কাঁঠালও
- Details
- by জীবনশৈলী ডেস্ক
বিষাক্ত কেমিক্যাল ইথিফন দিয়ে পাকানো হচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেকে যাচ্ছে কচি কাঁঠালও, যার কোষে কোষে থাকছে বিষ। এমন চিত্র দেখা গেছে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত গারোবাজারে।
জাতীয় ফল কাঁঠাল, ফাইল ছবি
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুম শুরুর আগেই অতি মুনাফাখোর এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ইথিফন দিয়ে কাঁঠাল পাকাচ্ছে। এতে জনপ্রিয় ফলটির পুষ্টিগুণ নষ্ট হচ্ছে, যা মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজারটি সপ্তাহে রোববার ও বুধবার বসলেও প্রতিদিন বিক্রি হয় ফলটি। হারবারে ৩০-৩৫টি ট্রাকে কাঁঠাল তোলা হয়। আরো কিছু হাট বসে ঘাটাইলের বিভিন্ন এলাকায়, সেখান থেকেও ফলটি ভরা হয় শতাধিক ট্রাকে। এসব কাঁঠাল যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ইথিফন দিয়ে কাঁঠাল পাকানো
ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিকভাবে কাঁঠাল পাকতে বেশ সময় লাগে। এ জন্য ফলটি দ্রুত পাকাতে বিভিন্ন ব্রান্ডের কেমিক্যাল প্রয়োগ করছে অনেকে। ‘শিক মারা’ এই পদ্ধতিতে প্রথমে সিরিঞ্জের মাধ্যমে উচ্চ মাত্রায় বিষাক্ত ইথিফন প্রবেশ করানো হয় কাঁঠালের ভেতরে। রাসায়নিকটির সঙ্গে মেশানো হচ্ছে লবণ ও পটাশ সারও।
কাঁঠাল চাষীরা বলছেন, ইথিফনে লবণ ও পটাশ মেশানোর পর তা শরীরের কোথাও লাগলে পুড়ে যায়। এই মিশ্রণ কাঁঠালে পুষ করা হলে তা দ্রুতই কোষে কোষে চলে যায়।
কাঁঠালে ‘শিক মারা’, ফাইল ছবি
ফলে এই পদ্ধতিতে পাকানো কাঁঠাল খাওয়া মানে বিষ খাওয়া- এমনটা উল্লেখ করে তারা বলেন, কাঁঠাল পাকানো এই ইথিফন খেয়ে ঘাটাইলে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। কোনো চিকিৎসাই এ ক্ষেত্রে কাজে আসে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ৫০ মিলি ইথিফন ১৬ লিটার পানিতে মেশানো হলে তা সহনীয় মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু মাত্র এক লিটার পানিতে ১০০ মিলিও ব্যবহার করতে দেখা গেছে সরেজমিনে।
গারোবাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মালিক মুনতাজ সরকার বলছেন, ইথিফনের গায়ে লেখা- কোনো ফল আগাম বাহির এবং গাছ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদিত। সেটি ফল পাকাতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর