দুর্দান্ত আশরাফুলের ঝড়ো ৭২

নিজেদের ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ ঝড় তুলেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ম্লান হয়ে যায় অভিজ্ঞ আশরাফুলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কাছে। মোহাম্মদ আশরাফুলের আসর সেরা ইনিংসের ওপর ভর করেই আবাহনীকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এদিকে, বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা শেখ জামালের সঙ্গে হেরে শিরোপা ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে।

মোহাম্মদ আশরাফুল

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) হাই ভোল্টেজ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে আবাহনী। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে সক্ষম হয় দলটি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শেখ জামাল। ব্যাট হাতে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন অভিজ্ঞ আশরাফুল।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে আসা আবাহনী শুরুতেই হারায় ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট। তবে শূন্য রানে মুনিম ফিরলেও দারুণভাবে শুরু করেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ ও তিন নম্বরে আসা লিটন দাস। তাদের জুটিতে যখন ৬৮ রানের সংগ্রহ তখন আঘাত হানেন মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি। সাজঘরে ফেরেন নাঈম। তবে করে যান ২৮ বলে ৪২ রান।

এর পর আবাহনীর মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যক্তিগত লড়াই চালিয়ে যান লিটন। মূলত তার ইনিংসে ভর করেই মোটামোটি একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় আবাহনী। ৫১ বলে ৭১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন লিটন। যার মধ্যে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। অন্যদের মধ্যে আফিফ হোসেন ১৯ এবং মোসাদ্দেক হোসেন করেন ১৬ রান।

আবাহনীর ছুড়ে দেওয়া ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার সৈকত আলী। এর পর তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসকেও হারায় শেখ জামাল। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাসির হোসেনকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ২২ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান নাসির। দলের রান তখন ৮১। এর পর আশরাফুলের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

লিটন দাস

আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে ২২ বলে ৩৬ করে তানজিদ হাসান সাকিবের শিকার হন সোহান। অবশ্য ততক্ষণে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি তার দল। শেষ দিকে আশরাফুলকে সঙ্গ দেন জিয়াউর রহমান। ৪৮ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন আশরাফুল। আর ৯ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তার সঙ্গী জিয়া।