স্রেফ উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া

প্রথম ম্যাচে কিছুটা লড়াই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছে ১৮ রানে। আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের সামনে দাঁড়াতেই পারল না অজিরা। উইন্ডিজের প্রায় দুশো রানের চাপায় পড়ে তারা। নির্বিষ বোলিং ও বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের মাসুল অস্ট্রেলিয়া দিল ৫৬ রানে বড় ব্যবধানে হেরে।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেন্ট লুসিয়ায় ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে চার উইকেটে ১৯৬ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ তোলে ক্যারিবীয়রা। জবাব দিতে নেমে ম্যাচের চার বল বাকি থাকতে ১৪০ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

বলতে গেলে ক্যারিবীয় দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে একাই লড়াই করেছেন মিচেল মার্শ। ৪২ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান। বাকিদের কেউ কুড়ি রানও করতে পারেননি। জস ফিলিপস ১৩ বলে এক চারে ১২ রান এবং ময়েজেস হেনরিক্স ২১ বলে এক ছক্কায় ১৯ রানে আউট হন।

বিস্ময়কর হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং তোপে অস্ট্রেলিয়ার বাকি আট ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অংকে! স্বাগতিকদের পক্ষে সবচেয়ে সফল হেডেন ওয়ালস সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন। দুই উইকেট গেছে শেলডন কটরেলের ঝুলিতে। একটি করে শিকার ফিডেল অ্যাডওয়ার্ডস, আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভো ও ক্রিস গেইলের।

মূলত মিডল অর্ডারে দৃঢ়তায় দলীয় সংগ্রহ দুশোর কাছাকাছি নিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিমরন হেটমায়ারের ৩৬ বলে ৬১ রানের ঝড় থামে রান আউটে। ইনিংসে দুটি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ব্রাভো এক চার ও তিন ছক্কায় ৩৪ বলে করেন অপরাজিত ৪৭ রান। দুটি করে চার-ছক্কায় আট বলে ২৪ রানে অজেয় থাকেন রাসেল।

ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ২১ বলে তিনটি ছক্কা ও এক চারে ফিরেছেন ৩০ রানে। আন্দ্রে ফ্লেচার সাত বলে নয় রানের ইনিংসে একটি ছক্কা মেরে বিদায় নেন। গেইল অবশ্য প্রস্তর যুগের ব্যাটিং করেন। ১৬ বলে ১৩ রানের ইনিংসে দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। আগামী মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজ বাঁচাতে লড়বে অস্ট্রেলিয়া।